বোর হান »
১.
মস্তিষ্ককারিগর, মানে রাজমিস্ত্রির মৃত্যু বিবেচনার তর্জমা
“ইটের উপড় ইট, তুমি হও, হে মস্তিষ্ক।
রাজমিস্ত্রি পারভেজ, তুমি গড়ো, মস্তিষ্ক ফ্যাক্টরি।
আধুনিক, উত্তরাধুনিক মস্তিষ্ক আসছে শপিং মলে, বাপের হাত ধরি, ছোট বেলা থেইকা যাইতাম- হাটি হাটি,
আশা ছিলো আমারো একদিন অসাধারণ মস্তিষ্ক হবে।
দীর্ঘ সময় আমি ও আমার বন্ধুরা মস্তিষ্ক ফ্যাক্টরি সমূহে ঢু মারছি, কার্যকর মস্তিষ্কের সন্ধানে।
সন্ধান প্রক্রিয়া চলতে চলতে, তারা আমাদের মস্তিষ্কের বদলে জামা, নতুন বই এর সুগন্ধি, একটা টুপি, এক জোড়া ভিক্টোরিয়ান জুতা, আমাদের মধ্যে বিভেদ আর হাহাকার করার জন্য কিসু ন্যাঁকা ন্যাঁকা শব্দ তুলি দিসে।
তারা তুলি দিসে, কিভাবে কান্নারে ময়লা পড়ছে বলি এড়ায়তে হয়,
চিৎকার রে, হৃৎপিন্ডে চাইপা অষুধ খাইতে হয়,
পঙ্গুরে মসজিদের বাইরে বসায়, কিভাবে আল্লাহরে ডাকতে হয়।
পৃথিবীতে মস্তিষ্কের গুরুত্ব জারি রাখি, মানুষ রে মস্তিষ্কহীন করার যে রাজনীতি, সেখানে দাড়ায় রাজমিস্ত্রি পারভেজ খুন হয়, একেক টা ইটে লাগি থাকে তার রক্ত , ইটসমূহে- রক্ত মিশে তৈয়ার হয় মস্তিষ্ক,
আর হ্যা, এটাই আমাদের ভালোবাসার মস্তিষ্ক। “
২.
আলাপ শেষে ইনবক্সে পিঁপড়া
আমি আর শিরিন বাদামের খোসা ভাঙ্গার মত, নিজেদের মধ্যে থাকা ভাষার আড়াল গুলি, ভেঙ্গে, ভাইঙ্গা, কাছে আসি।
সে আসা আর কতটুকুআসা??
শিরিন, আর আমি, মুখোমুখি।
আমাদের ভাষা ল্যাপ্টাইয়া থাকে, আমাদের সামনে, ন্যাংটা হয়ে। খানিকপরে, পরস্পরে টল টল করে।
আলাপে নাড়া খাওয়া মাত্র, টল টল থেইকা ভাসতে থাকি, আহা!! সুখময় সে ভাসা(ষা)!!
আহা!!
শিরিনের ইনবক্সে কাটায়া দি, নানান আশ্চর্য সব দিন। লেপ মুড়ি দিয়ে আমরা শুয়ে থাকি।পরস্পরে জড়ায়ে হারায়ে থাকি। কখনো বা খাই মুড়ি। পাহাড়ে বইসা খাই মদ। কাটাতে থাকি মগজে কাটানো সব সব, সুন্দর সব দিন।
আহা!
আমি আর শিরিন।
বাংলাধারা/এফএস/এআর













