কক্সবাজার প্রতিনিধি »
কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী কাস্টমস চেকপোস্টে ট্রাকে তল্লাশী চালিয়ে ২ লাখ ৫০ হাজার ইয়াবা উদ্ধারের মামলায় ৫ আসামিকে পৃথক সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
রবিবার (২০ নভেম্বর) বিকেলে জনাকীর্ণ আদালতে এ রায় ঘোষণা দেন সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলো, যশোরের শর্শা থানার গোগা বাগানপাড়ার আবদুর রশিদের ছেলে মো. মিন্টু আলী, কালিয়ানীর মৃত মশিউর রহমানের ছেলে মো. দেলোয়ার হোসেন, মৃত গোলাম হোসেনের ছেলে মো. আবদুল হামিদ, মনিরামপুর মাথরাপুরের বরকত উল্লাহ সরদারের ছেলে মো. বিল্লাহ হোসেন ও টেকনাফের রঙ্গিখালী নুর আহমদ প্রকাশ আঁই মেম্বারের ছেলে মো. হেলাল।
মো. মিন্টু আলী ট্রাক হেলপার। তাকে ৫ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা আনাদায়ে আরও ৩ মাসের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে।
বাকি ৪ আসামির প্রত্যেককে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছে আদালত।
রায় ঘোষণা কালে আসামিদের মধ্যে ট্রাক চালক মো. আবদুল হামিদ, হেলপার মো. মিন্টু আলী ও মো. দোলোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন। পলাতক মো. বিল্লাহ হোসেন ও মো. হেলালের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাসহ সাজা পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। এমনটি জানিয়েছেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম।
রাষ্ট্র পক্ষের কৌঁশুলী এডভোকেট ফরিদুল আলম বলেন, ২০১৭ সালের ১৫ জুলাই উখিয়ার বালুখালী কাস্টমস চেকপোস্টে ট্রাক গাড়ি তল্লাশী করে ২ লাখ ৫০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করে পুলিশ। ইয়াবা বহনে ব্যবহৃত ট্রাক গাড়িটিও জব্ধ করা হয় (ঢাকা মেট্রো-ট-২০-৫১১১)। এ ঘটনায় উখিয়া থানায় মামলা হয় (২৮/২০১৭, জিআর- ২৭৭/২০১৭ এবং এসটি মামলা নং-১৫৯৭/২০১৯)। একই বছর ২৩ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র (নং-৩১৫) জমা দেন সংশ্লিষ্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ কায় কিসলু। আসামি মিন্টু আলী ও মো. দেলোয়ার হোসেনের উপস্থিতিতে ২০২০ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি সকল আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন হয়। চার্জশীটে উল্লেখিত ২২ জন সাক্ষীর মধ্যে ৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত। শুনানি, যুক্তি তর্ক ও আইনী সকল প্রক্রিয়া শেষে পূর্ব নির্ধারিত সময় অনুসারে রবিবার (২০ নভেম্বর) রায় ঘোষণা হয়েছে। অল্প সময়ে বিচার কার্য সম্পন্ন হওয়ায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন পিপি অ্যাডভোকেট ফরিদ।
আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন, এডভোকেট শামীম আরা স্বপ্না ও এডভোকেট মোহাম্মদ ইব্রাহিম।
উল্লেখ্য, সমুদ্রপথে মিয়ানমার থেকে ১৩ লাখ ইয়াবা পাচারের মামলায় গত ১৬ নভেম্বর ৪ জনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এর মধ্যে রয়েছে এক রোহিঙ্গা। আসামিদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরের (ক্যাম্প-১৩) এইচ ব্লকের ১৬ নম্বর শেডের বাসিন্দা মো. আয়াজ (৩৪), কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের পাওয়ার হাউস দক্ষিণ হাজীপাড়ার বাসিন্দা মো. বিল্লাল (৩৭), খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার পঞ্চরাম পাড়ার আজিমুল্লাহ (৪৩) এবং একই এলাকার আবুল কালাম (৩৭)।
এর পাঁচ দিনের মাথায় আরেক মামলায় ৫ জনের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।













