৮ ডিসেম্বর ২০২৫

ইয়া রাসুলল্লাহ ধ্বনিতে মুখরিত বন্দরনগরী

বাংলাধারা প্রতিবেদন »

মহানবী হজরত মুহাম্মদ (স.)-এর পৃথিবীতে আগমন ও বিদায়ের দিন ঈদে মিলাদুন্নবি উপলক্ষে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে চট্টগ্রামে। এ উপলক্ষে আয়োজিত জশনে জুলুসে অংশ নিয়েছেন লাখো মানুষ। অংশগ্রহণকারী অনেকের হাতে মহানবীকে অবমাননার অভিযোগে ফ্রান্সের পণ্য বর্জনের আহ্বানসহ প্ল্যাকার্ড দেখা গেছে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতিতে জুলুসে অংশগ্রহণকারী অনেকের মুখে মাস্ক থাকলেও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত হয়নি। তবে সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে এবার জুলুস কিছুটা সংক্ষিপ্ত করেছেন আয়োজকরা।

শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) সকালে আনজুমান-এ-রাহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের উদ্যোগে নগরীর মুরাদপুর-ষোলশহরের জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া মাদরাসা থেকে শোভাযাত্রা বের হয়। এবার জুলুসে উপস্থিত নেই বিদেশি অতিথি।

জুলুসে নেতৃত্ব দেন আনজুমানের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মহসিন, সেক্রেটারি মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, গাউসিয়া কমিটির চেয়ারম্যান পেয়ার মোহাম্মদ, জামেয়ার অধ্যক্ষ মুফতি অছিউর রহমান আলকাদেরি।

জশনে জুলুস উপলক্ষে নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড় এবং শোভাযাত্রায় বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। বিকেলে নগরীর ষোলশহরে জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।

ভোর থেকে চট্টগ্রামসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা মানুষের ঢল নামে জামেয়া মাদ্রাসা অভিমুখে। বাস ও ট্রাকে করে হাজার হাজার মানুষ নগরীতে এসেছে।

নগরীর মুরাদপুর, পাঁচলাইশ, কাতালগঞ্জ, চকবাজার, দেওয়ানবাজার, সিরাজদ্দৌলা রোড, আন্দরকিল্লা, মোমিন রোড, চেরাগি পাহাড়, জামালখান, চট্টগ্রাম কলেজ হয়ে শোভাযাত্রা পুনরায় এগিয়ে যায় মাদ্রাসায় দিকে। শোভাযাত্রায় ‘আসসালাতু আসসালামু আলাইকা ইয়া রাসুলল্লাহ’ ধ্বনিতে মুখরিত হয় বন্দর নগরী। জুলুস দেখতে সড়কের পাশেও জড়ো হয় হাজার হাজার জনতা।

এসময় শরবত, কমলা, চকলেট, পাউরুটি, খাবার পানিসহ বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী অংশগ্রহণকারী এবং দর্শনার্থীদের বিতরণ করতে দেখা গেছে।

প্রয়াত আল্লামা হাফেজ সৈয়দ মুহাম্মদ তৈয়ব শাহ (র.) চট্টগ্রামে জশনে জুলুসের প্রবর্তনকারী। তার ছেলে আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ তাহের শাহ ১৯৮৭ সাল থেকে জুলুসে নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন।

বাংলাধারা/এফএস/এআর

আরও পড়ুন