কক্সবাজারের উখিয়ায় রাতের আঁধারে দুর্বৃত্তের হামলায় গুরুতর আহত হয়ে বৌদ্ধ ভিক্ষু ধর্মজ্যোতি (৭০) মারা গেছেন।
বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) ভোর রাত ৩টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছে পরিবার।
নিহত শ্রীমৎ ধর্মজ্যোতি উখিয়ার হলদিয়াপালং ইউনিয়নের মরিচ্যা শ্রাবস্তি বৌদ্ধবিহারের অধ্যক্ষ ছিলেন। গত সোমবার সকালে বৌদ্ধবিহারের একটি কক্ষ থেকে ধর্মজ্যোতিকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা সন্তোষ বড়ুয়া বলেন, রাতে কে বা কারা ছুরিকাঘাত করে রক্তাক্ত অবস্থায় ভান্তেকে ফেলে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান হতে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়।
নিহতের ছেলে সুমন বড়ুয়া বলেন, ১৬-১৭ বছর আগে ধর্ম পালনের উদ্দেশ্যে সংসার ত্যাগ করেন বাবা। গত ৭ বছর ধরে তিনি মরিচ্যার শ্রাবস্তী বিহারের অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করছিলেন। তার সঙ্গে কারও শত্রুতা ছিল না। কিভাবে এমন ঘটনা ঘটলো বুঝে উঠতে পারছি না।
মরিচ্যা শ্রাবস্তি বৌদ্ধ বিহার পরিচালনা কমিটির সভাপতি মিলন বড়ুয়া বলেন, টাকার লোভে এলাকার উচ্ছৃঙ্খল দুর্বৃত্তরা পূর্বপরিকল্পিত এ ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে।
ভিক্ষু ধর্মজ্যোতিকে দেখতে যান উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমরান হোসাইন সজীবসহ উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।
উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী বলেন, বৌদ্ধ ভিক্ষুর উপর দুর্বৃত্ত হামলা চরম নেক্কারজনক ঘটনা। তার প্রয়াণে গভীর শোক প্রকাশ করছি। আশা করছি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তদন্তের মাধ্যমে দ্রুতই প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনবে।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, ঘটনার পর খবর নিয়ে দেখেছি কেউ হামলা করেনি- স্ট্রোক করে পড়ে গিয়ে আহত হয়েছেন। এরপরও ঘটনাটি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। কারো দ্বারা হামলার ঘটনা ঘটেছে এমনটি উঠে আসলে অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।













