কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফে রোহিঙ্গা সংকটে ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয় জনগোষ্ঠীর উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে উখিয়ার বালুখালী উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র পুনঃনির্মাণ করা হয়েছে। কাতার চ্যারিটির সহযোগীতায় আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এ স্বাস্থ্য কেন্দ্রটির পুনঃনির্মাণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডা. বিপাশ খীসা, কাতার চ্যারিটির হেড অব অপারেশন্স এন্ড ইন্টারন্যাশনাল প্রোগ্রাম নওয়াফ আবদুল্লাহ আল হাম্মাদি এবং আইওএম-বাংলাদেশের ডেপুটি চীফ অব মিশন নিহান এরদোয়ান পুনঃনির্মিত স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি উদ্বোধন করেন।
পুনঃনির্মিত দোতলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রটির মাঝে রয়েছে একটি অপেক্ষাগার, ট্রায়াজ, রোগীদের পরামর্শ কক্ষ, মানসিক স্বাস্থ্য ও মনোসামাজিক সহায়তা কর্ণার, পুষ্টি কর্ণার, পরীক্ষাগার, স্টোর এবং ফার্মেসি। চব্বিশ ঘন্টার স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে এ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে রয়েছে বহুমুখী কক্ষও।
সূত্র জানায়, ২০১৭ সালের শেষ দিকে রোহিঙ্গা ঢলের পর প্রথম এই স্বাস্থ্য উপ-কেন্দ্রে আইওএম কার্যক্রম শুরু করে। রোগীদের পরামর্শ প্রদান, জরুরি সেবা, রেফারেল সহায়তা, সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ, অসংক্রামক রোগ ব্যবস্থাপনা এবং মানসিক স্বাস্থ্য ও মনোসামাজিক সহায়তা সেবাসহ সক্রিয়ভাবে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরিষেবা দেয়া হতো। তবে, পুরোনো ভবন এবং জায়গা স্বল্পতার কারণে সকল সেবা গাদাগাদিভাবে দিতে হতো। এ কারণে সম্প্রতি এ উপ-কেন্দ্রটি পুনঃনির্মাণ করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য কেন্দ্রের দেয়া তথ্য মতে, জানুয়ারী ২০১৮ থেকে জুন ২০২৩ পর্যন্ত, আইওএম এই স্বাস্থ্য উপ-কেন্দ্রে প্রায় ৯৫ হাজার রোগীকে স্বাস্থ্য পরামর্শ দিয়েছে। যার ৩৩ শতাংশ স্থানীয় জনগোষ্ঠী ও ৬৭ শতাংশ রোহিঙ্গা। আইওএম এ কেন্দ্রে নিয়মিত স্বাস্থ্যসেবার পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্য ও মনোসামাজিক সহায়তা সেবাও দিয়ে থাকে। উল্লেখিত সময়ে ২৬ হাজার ৬৪৬ জনকে গোষ্ঠী-ভিত্তিক মানসিক স্বাস্থ্য ও মনোসামাজিক সহায়তা সেবা প্রদান করা হয়েছে।
কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডা. বিপাশ খীসা বলেন, বালুখালী উপ-স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র পুনঃ নির্মাণের ফলে সরকার ও স্বাস্থ্য সেবাদানকারী সংস্থাগুলো স্থানীয় জনগোষ্ঠী ও রোহিঙ্গাদের সবরকমের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে সুবিধা পাবে। রোহিঙ্গা সংকটে ক্ষতিগ্রস্থ জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে বালুখালী স্বাস্থ্য উপ-কেন্দ্রের পুনঃনির্মাণ একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। স্থানীয় জনগোষ্ঠীদের অত্যাবশ্যকীয় স্বাস্থ্য পরিষেবা নিশ্চিতে সরকারের পাশাপাশি আইএনজিও হিসেবে আইওএম প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
				












