কক্সবাজার প্রতিনিধি »
কক্সবাজারের উখিয়ার মরিচ্যা বাজারের চাঞ্চল্যকর জসিম হত্যা মামলায় প্রধান অভিযুক্ত মোহাম্মদ নয়নকে (২৮) গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৫। সোমবার (১৫ মার্চ) বিকেলে জালিয়াপালং এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সহকারী পরিচালক (ল’ এন্ড মিডিয়া) সহকারী পুলিশ সুপার মো. বিল্লাল উদ্দিন।
গ্রেফতার নয়ন উখিয়ার হলদিয়াপালং ইউনিয়নের রুমখা ক্লাসপাড়ার বদিউল আলমের ছেলে।
সহকারী পুলিশ সুপার মো. বিল্লাল উদ্দিন জানান, গত ১০ ফেব্রুয়ারি ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মরিচ্যা বাজার থেকে বাড়ি ফেরার সময় নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের প্রেক্ষিতে তার পরিবার উখিয়া থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে। ডায়েরির পরও কোনো সন্ধান না পেয়ে ১৫ ফেব্রুয়ারি নয়নকে প্রধান আসামী করে উখিয়া থানায় একটি অপহরণ মামলার এজাহার দাখিল দেন (পরবর্তী মামলা নং-৬৯/২০৪)। পরেরদিন জন চলাচলের সময় জসিম উদ্দিনের ব্যবসায়িক গোডাউন হতে পচাঁ গন্ধ অনুভব করলে তাৎক্ষণিকভাবে উখিয়া থানায় বিষয়টি অভিহিত করে। উখিয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে জনগণের উপস্থিতে গোডাউনের তালা ভেঙে জসিমের গলিত মরদেহ উদ্ধার করে। মামলার পর থেকে নয়ন গ্রেফতার এড়াতে আত্মগোপন করে পালিয়ে বেড়ায়।
তিনি আরও জানান, ব্যবসায়ী জসিমকে অপহরণ মামলার ছায়াতদন্ত শুরু করে র্যাব। নয়নকে ধরতে গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করা হয়। গত ৩-৪ তিন ধরে নয়ন জালিয়াপালং এলাকায় আত্মগোপনে রয়েছে এটা নিশ্চিত হয়ে র্যাব-১৫ এর একটি চৌকস দল অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। জসিমের ডিলার ব্যবসায় চাকুরির সুবাদে দুজনের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়ন, আর্থিক লেনদেন বিষয়ে ঝগড়া ও কথা কাটাকাটির জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
উখিয়া থানায় দায়ের করা মামলা মুলে তাকে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
অপরদিকে নয়নের বাবা বদিউল আলম বলেন, আমার ছেলে নয়ন একটি কোম্পানির এসআর। সেই কোম্পানি যতদিন জসিমের কাছে ছিলো ততদিন অর্ডার মতো মালামাল ডেলিভারি দিয়েছে নয়ন। বিগত ৬-৭ মাস আগে জসিম সেই ডিলারটি ছেড়ে দিয়েছে। এটি এখন অন্য ব্যবসায়ী হ্যান্ডেল করছে। আর নয়ন কোম্পানির এসআর হিসেবে নতুন সেই ব্যবসায়ীর আন্ডারে কাজ করছে ৬-৭ মাস আগে থেকেই। সুতরাং জসিমের সাথে নয়নের লেনদেন জনিত কিংবা ব্যবসায়ীক কোন দ্বন্দ্ব ছিল সেটা মিথ্যে। কল্পনার উপর ভিত্তি করে নয়নের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। দুমাস আগে তার হার্নিয়া অপারেশন হয়েছে তাই মামলার পর আত্মগোপনে গিয়ে আদালতে আত্মসমর্পণ করার প্রস্তুতি নেয়ার পথেই আমার ছেলে আটক হয়েছে। আমরা নিরপেক্ষ তদন্ত কামনা করছি।













