২৩ অক্টোবর ২০২৫

উত্তর ফটিকছড়ির নারায়ণহাটে মানববন্ধন: ‘সদর দপ্তর যৌক্তিক স্থানে স্থাপনের দাবি’

চট্টগ্রামের ফটিকছড়িকে বিভক্ত করে ‘ফটিকছড়ি উত্তর’ নামে নতুন উপজেলা গঠনের প্রস্তাব অনুমোদনের পর নতুন সদর দপ্তর কোথায় হবে, তা নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক।

এ নিয়ে আজ শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলার নারায়ণহাট ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে ‘উত্তর ফটিকছড়ি সচেতন নাগরিক পরিষদ’-এর ব্যানারে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের আহ্বায়ক এডভোকেট আবছার উদ্দিন হেলাল এবং সঞ্চালনা করেন সদস্য সচিব মুহাম্মদ মিনহাজ উদ্দিন সিদ্দিকী।

মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, ফটিকছড়ি দক্ষিণাঞ্চলের একটি প্রভাবশালী মহল ষড়যন্ত্র করে নতুন উপজেলার সদর দপ্তর দক্ষিণ ভূজপুর বা হারুয়ালছড়িতে স্থাপনের চেষ্টা চালাচ্ছে।

তারা বলেন, “উত্তর ফটিকছড়ি দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনিক অবহেলার শিকার। এবার যদি সদর দপ্তরও দক্ষিণে নেওয়া হয়, তাহলে এটি হবে উত্তরাঞ্চলের মানুষের প্রতি আরেকটি বৈষম্য।”

বক্তারা আরও বলেন, “নারায়ণহাট ভৌগোলিকভাবে উত্তর ফটিকছড়ির কেন্দ্রবিন্দু ও যোগাযোগের সহজতম স্থান। এখানে উপজেলা সদর দপ্তর স্থাপন করা হলে পুরো অঞ্চলের জনগণ সমানভাবে সেবা পাবে।”

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন— বিজিএমইএর পরিচালক রকিবুল আলম চৌধুরী, নারায়ণহাট ইসলামিয়া ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আ. ও. ম. ফারুক হোসাইন, নারায়ণহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আলহাজ এম. এ. ছত্তার, নারায়ণহাট কলেজিয়েট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু তাহের চৌধুরী, নারায়ণহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাস্টার অলি আহমদ, নারায়ণহাট ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এম. হারুন রশিদ, ব্যাংকার আবুল মনছুর, ব্যবসায়ী ইউসুফ মোহাম্মদ, রাজনীতিবিদ নজরুল ইসলাম, রাজনীতিবিদ কামাল উদ্দিন শিকদার, চট্টগ্রাম কর আইনজীবী সমিতির যুগ্ম সম্পাদক চৌধুরী খালেদ বিন সরওয়ার, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সমন্বয়ক মাস্টার রতন, মাওলানা মহররম আলী, ওসমান গণি হোসাইনি, আবদুল মাবুদ হোসাইনি, সমাজসেবক সৈয়দুল হক সৈয়দ, ইউপি সদস্যরা শওকত উসমান, আলতাফ উদ্দিন, নাসির উদ্দিন বাবু, তারেক বিন সালাম ও মো. জামাল উদ্দিন, সাবেক ইউপি সদস্য আবদুল করিম বাবুল, ছাত্রনেতা রোকন উদ্দিন শিকদার, কাউসার শিকদার, রবিউল হোসাইন তানজিম, সাজ্জাদুল হাসনাত, ফজলুল করিম, জসিম উদ্দিন চৌধুরী সাজ্জাদ, মো. রাইহান, মো. জামাল উদ্দিন প্রমুখ।

বক্তারা একবাক্যে বলেন “উত্তর ফটিকছড়ির সর্বসাধারণের উপকারে, প্রশাসনিক বাস্তবতা ও ভৌগোলিক সুবিধার ভিত্তিতে সদর দপ্তর স্থাপন হোক নারায়ণহাটে।”

আরও পড়ুন