৭ নভেম্বর ২০২৫

উত্তাল চবি—শাটলের গার্ড ও লোকো মাস্টার অপহরণ

চবি প্রতিনিধি »

তিন বছর পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। দীর্ঘদিন পর পূর্ণাঙ্গ কমিটি পেয়ে পদধারীরা যখন উচ্ছ্বসিত, ঠিক তখনই পদবাণিজ্য ও অছাত্রদের রাখার অভিযোগ এনে পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা ডাক দিয়েছে অনির্দিষ্টকালের অবরোধ। রবিবার (৩১ জুলাই) দিবাগত রাত ২টা থেকে চবির মূল ফটকে তালা দিয়ে বিক্ষোভ করছে তারা।

এ ঘটনায় সোমবার (১ আগস্ট) সকাল থেকে বন্ধ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেন। এমনকি ট্রেনের গার্ড ও লোকো মাস্টারকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে।

আরও জানা যায়, সকাল থেকে আন্দোলনকারীদের বাধার মুখে ক্যাম্পাস থেকে শিক্ষকদের কোনো বাস শহরে যেতে পারেনি। বন্ধ রয়েছে ক্যাম্পাসে রিকশা ও সিএনজি চলাচলও। এতে কার্যত অচল হয়ে পড়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।

পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে সহ-সভাপতি পদপ্রাপ্ত শায়ন দাশ গুপ্ত বলেন, যারা ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে শুরু থেকে জড়িত ছিলেন তাদের বঞ্চিত করা হয়েছে। টাকার বিনিময়ে এ কমিটিতে বাইরের অনেকেই পদ পেয়েছেন। আমরা এ কমিটি মানি না।

আন্দোলনকারী ছাত্রলীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন বলেন, এ কমিটিতে জ্যেষ্ঠতা রক্ষা হয়নি। রাজপথের নিবেদিত কর্মীদের বাদ দেওয়া হয়েছে। কমিটিতে আছে অছাত্র ও বিবাহিতরাও। অনেকে টাকার বিনিময়ে পদ পেয়েছেন। এসব কারণে আমরা বঙ্গবন্ধু আদর্শের কর্মীরা শান্তিপূর্ণ অবরোধের ডাক দিয়েছি। কমিটিতে মাঠের প্রকৃত কর্মীদের অন্তর্ভুক্তের আগ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে অবরোধ থাকবে।

এদিকে নিরাপত্তাহীনতার কারণ দেখিয়ে ট্রেন ছাড়তে অপারগতা প্রকাশ করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। ষোলশহর স্টেশন মাস্টার তন্ময় চৌধুরী বলেন, ‘অবরোধের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়গামী কোনো ট্রেন ছেড়ে যায়নি। ঝাউতলা রেলস্টেশন থেকে আমাদের এক লোকো মাস্টার ও গার্ডকে অপহরণ করা হয়েছে।’

প্রসঙ্গত, এর আগে রাত সাড়ে বারোটার দিকে মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে যাওয়া চবি শাখা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। ৩৭৬ সদস্য বিশিষ্ট এ কমিটি ঘোষণার পর পরেই উত্তপ্ত হয়ে উঠে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস।

আরও পড়ুন : তিন বছর পর চবি ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা

আরও পড়ুন : চবির মূল ফটকে তালা পদবঞ্চিতদের

বাংলাধারা/এআই

আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও

সর্বশেষ