পটিয়া প্রতিনিধি »
পটিয়ায় ছনহরা ইউপি উপ-নির্বাচনে ঋণখেলাপীর দায়ে আওয়ামী লীগ মনোনিত নৌকার প্রার্থী মামুনুর রশিদ রাসেলের মনোয়ন বাতিল করেছে পটিয়া নির্বাচন কমিশন। বৃহস্পতিবার দুপুরে মনোয়ন যাচাই বাছাই শেষে তার মনোয়ন বাতিল করা হয়।
জানা যায়, পটিয়ায় ছনহরায় শূন্য হওয়া আসনে গত ১৩ মে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের মনোনয়ন বোর্ডের সভায় প্রয়াত চেয়ারম্যান সামশুল আলম আলমদারের সন্তান ছনহরা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মামুনুর রশিদ রাসেলকে মনোনয়ন দেওয়া হয়।
গত মঙ্গলবার মনোনয়ন জমাদানের শেষদিন আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে মনোনয়ন জমা দেন আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মামুনুর রশীদ রাসেল। অন্যদিকে গত সোমবার বিকেলে ছনহরা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুর রশিদ দৌলতীর পক্ষে তার সমর্থকেরা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আরাফাত আল হোসাইনীর কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন। এছাড়াও জাহিদুল ও সাহাব উদ্দিন নামের আরও দুইজন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার মনোয়নপত্র যাচাই বাছাইয়ের শেষ দিনে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আরাফাত আল হোসাইনী নৌকার প্রার্থী ও ৩ স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাগজপত্র যাচাই বাছাই শেষে ঋনখেলাপীর দায়ে নৌকার প্রার্থীর মনোয়ন বাতিল করেন। এছাড়া ৩ স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাগজপত্র যাচাই বাছাই শেষে সঠিক থাকায় বৈধ ঘোষণা করেন।
নৌকার প্রার্থী মামুনুর রশিদ রাসেল জানান, একজনের ক্রেডিট কার্ডের জন্য জামিনদার হয়েছিলাম। তার অনিয়মিত পেমেন্ট থাকার কারনে ঋনখেলাপীতে আমার নাম চলে আসছে। ইতোমধ্যে অপরিশোধিত সব ব্যালেন্স জমা দেওয়া হয়ে গেছে। আশাকরি রোববার সব ঠিক হয়ে যাবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আরাফাত আল হোসাইনী জানান, ছনহরার উপ-নির্বাচনে ৪ প্রার্থী মনোয়ন দাখিল করেন। এর মধ্যে নৌকার প্রার্থীর ঋনখেলাপীতে নাম থাকায় তার মনোয়ন বাতিল করা হয়। এছাড়া বাকি ৩ প্রার্থীর কাগজপত্র ঠিক থাকায় তাদের মনোয়ন বৈধ ঘোষনা করা হয়। ২৬ মে মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষদিন এবং ১৫ জুন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।













