চট্টগ্রামের পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনালে দীর্ঘ এক বছরেরও বেশি সময় পর সরাসরি প্রথমবারের মতো একটি আমদানি পণ্যবাহী জাহাজ নোঙর করেছে। বুধবার (১ মে) দুপুর ২টার দিকে আন্তর্জাতিক শিপিং কোম্পানি মায়ের্স্ক লাইনের সিঙ্গাপুর পতাকাবাহী জাহাজ ‘এমভি মায়ের্স্ক চট্টগ্রাম’ টার্মিনালের ১ নম্বর জেটিতে ভিড়ে।
জাহাজটি মালয়েশিয়ার পোর্ট ক্লাং থেকে ১,৭১২টি ২০ ফুট কনটেইনারে আমদানি পণ্য নিয়ে এসেছে। রপ্তানির জন্য এটি আগামী ৩ জুলাই ১,৬০০ কনটেইনার নিয়ে ফের পোর্ট ক্লাংয়ের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (সিপিএ) বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক জানান, বিভিন্ন প্রশাসনিক অনুমোদন, কাস্টমস ব্যবস্থা স্থাপন এবং প্রযুক্তিগত সংযোগ সম্পন্ন না হওয়ায় এতদিন টার্মিনালটি পূর্ণভাবে চালু করা সম্ভব হয়নি।
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম বন্দরের ১,২৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনালটি ৩২ একর জায়গা জুড়ে গড়ে উঠেছে। এতে রয়েছে তিনটি কনটেইনার জেটি এবং একটি তেলবাহী জাহাজের জন্য ‘ডলফিন’ জেটি। ফলে একসঙ্গে তিনটি কনটেইনারবাহী জাহাজ ও একটি অয়েল ট্যাংকার নোঙর করতে পারবে। টার্মিনালটির বার্ষিক কনটেইনার হ্যান্ডলিং সক্ষমতা ৪.৫ লাখ টিইইউ (twenty-foot equivalent unit), যা চট্টগ্রাম বন্দরের ওপর চাপ অনেকটাই কমিয়ে আনবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বন্দর উপ-সংরক্ষক ফরিদুল আলম জানান, “এটি পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনালে সরাসরি ভিড়েছে এবং এখান থেকেই যাত্রা করবে এমন প্রথম জাহাজ। এর মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমের সূচনা হলো।”
টার্মিনাল পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছে সৌদি আরবভিত্তিক রেড সি গেটওয়ে টার্মিনাল ইন্টারন্যাশনাল (RSGTI)। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ২২ বছরের জন্য প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে পরিচালনার চুক্তি করে। প্রতি টিইইউ কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের জন্য সিপিএ ১৮ ডলার করে পাবে।
উল্লেখযোগ্য, পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রম শুরুর আগে ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে পরীক্ষামূলকভাবে দুটি জাহাজ আংশিক পণ্য খালাসে অংশ নেয়, তবে সেগুলো সরাসরি পতেঙ্গা নয়, অন্য টার্মিনালে ভিড়েছিল। এমভি মায়ের্স্ক চট্টগ্রামই প্রথম জাহাজ, যা সরাসরি পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনালে এসেছে।
এআরই/বাংলাধারা













