শারমিন সুলতানা রাশা »
‘এটা করো!’, ‘ওটা করো!’, এটা করো নি?’ -এত কাজের মধ্যেও কখন সময় পেল কয়েকটা শব্দে নিজের কথা বলার? পত্রিকায় ছাঁপা নিজের অনুভূতি দেখে নিজেই চমকিত। ঘর কন্যার ঘর সামলানো ছাড়াও আরেকটি প্রতিভা আছে জেনে বিস্ময়ের সীমা নেই কারও।
ডিনারে নিজের গল্পটা পড়ে শোনাল সবাইকে । শুনতে শুনতে লাল হয়ে উঠলো গৃহবাসীদের চোখ।
‘ঝাল বেশি হয়েছে?’
নিরুত্তর সব।
ডিনার শেষ না করেই উঠে পড়লো অনিমেষ।
‘এত তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়লে? শরীর খারাপ?’
‘কি লিখেছ এসব?’
‘কি লিখেছি? ‘
‘কোয়ারেন্টাইনে তুমি নির্যাতিত?’
‘আমি তা একবারও বলি নি। ‘
‘তোমার লেখা বলছে!’
কথা বাড়াল না প্রিয়তী। নিজেরই লেখা পড়ে সগোপনে হাসলো-
‘লেখা তো দর্পণ। সবাই নিজেকেই দেখতে পায়!’
লেখক : মঞ্চাভিনেত্রী, নির্দেশক, গল্পকার ও নাট্যকার, চট্টগ্রাম













