১৭ ডিসেম্বর ২০২৫

একসাথে নাগালের বাইরে সবজি, মাছ ও মুরগির দাম

বাংলাধারা প্রতিবেদন  »

দীর্ঘ ছয় মাস পর বাজারে অস্থির প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য সবজি, মাছ ও মুরগির দাম।দেশের বিভিন্ন স্থানে টানা বৃষ্টির কারণে প্রায় একমাস ধরে সবজির বাজার চড়া। এদিকে সমুদ্রে মাছ ডিম দেয়ার কারণে এক মাস ধরে সমুদ্রে জাল ফেলা বন্ধ রয়েছে। একারণে বাজারে সমুদ্রিক মাছ ও দেশীয় চাষের মাছের সংকট রয়েছে। যার ফলে প্রায় এক মাস ধরেই মাছ ও সবজির দাম চড়া। এদিকে চলতি সপ্তাহে নতুন করে বেড়েছে মুরগির দাম।

ব্যবসায়ীরা জানান, মূলত বর্ষার কারণে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। ঠান্ডার কারণে সব জাতের ফার্মের মুরগির উৎপাদন ভালো হচ্ছে না। এছাড়া রমজানে হালিম তৈরিতে পাকিস্তানি লেয়ার মুরগির ব্যবহার হয়ে থাকে। সেই সময় থেকে বাজারে এখনো লেয়ার মুরগির সংকট। এসব কারণে বাজারে এখনো চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে লেয়ার মুরগি ও গতকাল নতুন করে বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম। অপরিবর্তিত রয়েছে সোনালী মুরগির দাম।

আজ (১৮ জুন) বাজারে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ টাকায়। যা সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছিল ১২০ টাকায়। কেজিতে দাম বেড়েছে প্রায় ২৫ টাকা পর্যন্ত। লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ২৬০ টাকায় ও সোনালী বিক্রি হচ্ছে ২৩০ টাকায়।

বাজারে সবজি, মাছ ও মুরগির দাম এভাবে বাড়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে ক্রেতারা। অনেকে প্রশাসনের উদাসীনতাকে দাই করছেন। নিয়মিত বাজার তদারকির অভাবে এমনটাই হচ্ছে বলেন তারা। বাজারে প্রতিটি সবজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকার বেশি দামে। সকল সবজির দাম বাড়লেও অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে টমেটো ও গাজরের দাম।

আজ বাজারে টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। গাজর ৮০ টাকা। আলু ২০ টাকা থেকে দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২৩ টাকায়। বরবটি ৩০ টাকা থেকে বেড়ে ৮০ টাকায়, শসা আকারে ছোট ২০ টাকা থেকে দাম বৃদ্ধি পেয়ে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়, আকারে বড় শসা ৪০ টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, বেগুন ৩০ টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, কাকরোল ৬০ টাকায়, ধন্দুল ৬০-৮০ টাকায়, ঢেঁডস ৬০ টাকায়, পটল ৫০ টাকায়, ঝিঙ্গা ৬০-৮০ টাকায়, চিচিঙ্গা ৫০-৬০ টাকায়, লতি ৪০ টাকায়, কচুর চড়া ৬০ টাকায়, বড় কচু প্রতি পিস ২০-৩০ টাকায়, পেঁপে ৩০ টাকায়, লাউ ৫০ টাকায়, কুমড়ো ৪০ টাকায়, কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়।

অপরিবর্তিত রয়েছে পেঁয়াজ, রসুন ও আদার দাম। আমদানি করা পেঁয়াজ ৪০ টাকায় ও দেশী পেঁয়াজ ৪২-৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে কমেছে ভোজ্যতেলের দাম। দেশী রসুন ৮০ টাকায় ও আমদানি করা রসুন বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়। দেশী আদা ৮০ টাকায় ও আমদানি করা আদা বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়। খোলা সুপার সয়াবিন তেল ১৩৫ টাকা থেকে দাম কমে বিক্রি হচ্ছে ১২৩ টাকায়।

নগরীর মাছের বাজারে দেখা যায়, রূপচাঁদা আকার ভেদে ২৫০-৫০০ টাকা, আইড় মাছ ২৫০-২৮০ টাকায়, বাইলা ২৫০-২৮০ টাকায়, পোয়া মাছ ২০০-২৮০ টাকা, ইলিশ আকার ভেদে ২৫০-৫শ’ টাকায়, ছুরি মাছ ২০০-২৮০ টাকায়, লইট্যা আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ১০০-১৫০ টাকায়, পাবদা ৪৫০-৪৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশী মাছের মধ্যে রুই আকার ভেদে বিক্রি হচ্ছে ১৮০-২৫০ টাকায়, কাতল ২০০-২৮০ টাকায়, মৃগেল মাছ ১৫০-২০০ টাকায়, কার্ফ মাছ ২০০-২৬০ টাকায়, তেলাপিয়া মাছ ১২০-১৪০ টাকায় ও পাঙ্গাস ১১০-১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অপরিবর্তিত রয়েছে কৈ ও চিংড়ি মাছ। কৈ বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ৪০০ টাকায় ও চিংড়ি আকার ভেদে ৫৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া অপরিবর্তিত রয়েছে মাংসের দাম। হাড় ছাড়া গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকায়, হাড়সহ ৬৫০ টাকায় ও খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকায়।

বাংলাধারা/এফএস/এআর

আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও

সর্বশেষ