বাংলাধারা প্রতিবেদন »
ক্ষমতাসী দল আওয়ামী লীগের এক বছরে ৩৫ শতাংশ আয় বেড়েছে। পঞ্জিকাবর্ষ অনুযায়ী ২০১৮ সাল শেষে আওয়ামী লীগের তহবিলে মোট জমা ছিল ৩৭ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। আর ২০১৯ সাল শেষে এর পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫০ কোটি ৩২ লাখ টাকা।
বুধবার (২৯ জুলাই) দুপুরে আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন অফিসে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আয়-ব্যয়ের হিসাব-২০১৯ বর্ষপঞ্জি এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২’এ বিষয়ের উপর লিখিত মতামত জমা দিয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ ও আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।
এর আগে সকালে নির্বাচন কমিশনে যান আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ ও দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া। সেখানে তারা ইসির সিনিয়র সচিব মো. আলমগীরের কাছে আয়-ব্যয়ের হিসাবের লিখিত কপি হস্তান্তর করেন।
২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের তহবিলে নগদ ছিল ৩ লাখ ৩৮ হাজার ৯৬৮ টাকা। সে সময় ব্যাংক হিসাবে জমা ছিল ৩৭ কোটি ৫২ লাখ ৬৪ হাজার ৮৭০ টাকা। ২০১৮ সালে সর্বমোট অর্থ ছিল ৩৭ কোটি ৫৬ লাখ ৩ হাজার ৮৩৮ টাকা।
২০১৯ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আয় হয়েছে সর্বমোট ২১ কোটি দুই লাখ ৪১ হাজার ৩৩০ টাকা। এ সময়ে যেসব খাত থেকে আয় হয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো–নমিনেশন ফরম বিক্রি বাবদ ১২ কোটি ৩২ লাখ ৩০ হাজার টাকা, সম্মেলন বাবদ প্রাপ্ত ৩ কোটি দুই লাখ ৫৫ হাজার ৮০০ টাকা, ব্যাংক লভ্যাংশ বাবদ ২ কোটি ৩৩ লাখ ৭৫ হাজার ২২৩ টাকা, সংসদ সদস্যদের প্রদেয় চাঁদা বাবদ এক কোটি ৭ লাখ ৬৪ হাজার টাকা।
এছাড়া কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যদের মাসিক চাঁদা, জেলাভিত্তিক প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ চাঁদা ও প্রাথমিক সদস্য ফরম বিক্রি, কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের হলভাড়া, পত্রিকা প্রকাশনা ও বিজ্ঞাপন (উত্তরণ) এবং পুস্তক বিক্রিসহ অন্যান্য খাত থেকে বাকি আয় হয়েছে।
২০১৯ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সর্বমোট ব্যয় হয়েছে, ৮ কোটি ২১ লাখ ১ হাজার ৫৭৫ টাকা। যেসব খাতে ব্যয় হয়েছে তার মধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য হলো আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন বাবদ তিন কোটি ৪৩ লাখ ১৪ হাজার ৮০০ টাকা, কর্মচারীদের বেতন, বোনাস, আপ্যায়ন ও অন্যান্য খরচ বাবদ ১ কোটি ১৩ লাখ ৭৭ হাজার ৭০০ টাকা, বিভিন্ন অনুষ্ঠান বাবদ ব্যয় ১ কোটি ১৮ লাখ ১৮ হাজার ৮৬৫ টাকা, সভাপতির কার্যালয়ে ভাড়া বাবদ ৫৫ লাখ টাকা।
এছাড়া নির্বাচন পরিচালনা অফিস, অফিস রক্ষণাবেক্ষণ, ত্রাণ কার্যক্রম, উত্তরণ পত্রিকা প্রকাশনা ও সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি, বিভাগীয় জেলা জনসভা ও দলীয় অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনা, বিজ্ঞাপন ও পোস্টার প্রকাশনা বাবদ, সাংগঠনিক খরচ, কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সার্ভিস চার্জসহ অন্যান্য খাতে বাকি অর্থ ব্যয় হয়েছে।
উল্লেখ্য, রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের শর্ত মোতাবেক প্রতিবছর ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে আগের পঞ্জিকা বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দিতে হয়।
বাংলাধারা/এফএস/টিএম












