বাংলাধারা প্রতিবেদক »
মিরসরাই উপজেলার ৮নং দুর্গাপুর ইউনিয়নের রায়পুর গ্রামের রায়পুর ইসলামিয়া সুলতানিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানা উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চলমান রাখতে অর্থ সহায়তা দিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক ও জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের সভাপতি মিরসরাই উপজেলার সন্তান নিয়াজ মোর্শেদ এলিট।
এই সময় উপস্থিত এলাকাবাসী এবং সাংবাদিকদের যুবলীগ নেতা নিয়াজ মোর্শেদ এলিট বলেন, ‘ইসলামি শিক্ষা কেন্দ্র এবং এতিমখানা গুলো সমাজের প্রয়োজনে এবং ইসলামী শিক্ষা যথাযথ ভাবে শিখার জন্য গুরত্বপূর্ণ। আমরা পারিবারিক ভাবে মাদ্রাসা ও এতিমখানা উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে সর্বোচ্চ সম্মান এবং গুরুত্ব দিই। অনেক মাদ্রাসা ও এতিমখানার পরিচালনার সাথে আমরা পারিবারিকভাবে জড়িত।’
তিনি আরও বলেন, ‘রায়পুর ইসলামিয়া সুলতানিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানা পরিদর্শনে এসে নিজেকে ধন্য মনে হচ্ছে। এখানে প্রায় শ’খানেক শিক্ষার্থী রয়েছে। এখানে আরও কিছু এতিম ছাত্র-ছাত্রী ও রয়েছে। মাদ্রাসার অবকাঠামো ও নির্মানে আরও অর্থ সহায়তা দরকার। আমরা যদি মিরসরাইবাসী সবাই মিলে আমাদের এমন সুবিধা বঞ্চিত গ্রামীণ শিক্ষা কেন্দ্রগুলোকে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করতে পারি আগামীতে মিরসরাই উপজেলা হবে সারা দেশের রোল মডেল।’ ওই মাদ্রাসায় আগামীতে আরও বেশি অর্থ সহায়তা দানের আশা প্রকাশ করেন এলিট।
পরিদর্শনে আরও উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলা চট্টগ্রাম উত্তর জেলার সভাপতি ও যুবনেতা আছিফ রহমান শাহীন, মিরসরাই কারেস্পন্ডেন্ট বাংলাদেশ প্রতিদিন, সিপ্লাস প্রতিনিধি মিরসরাইসহ এলাকার মুরুব্বিগণ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত ১১ জুলাই ঈদুল আজহার ছুটির দ্বিতীয় দিনে মিরসরাই উপজেলার ৩ নং জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের সোনা পাহাড় গ্রামে কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহত মো. শাহাদাত হোসেনের পরিবারকে সহমর্মিতা এবং সহযোগিতা’র জন্য ছুটে যান নিয়াজ মোর্শেদ এলিট। ওই সময় নিয়াজ মোর্শেদ এলিট ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের কথা স্মরণ করেন। শোকার্ত শাহাদাত হোসেনের মাকে সান্ত্বনা দেন এবং তাদের পাশে থাকার আস্বস্ত করেন। ওই সময় এলিটের পক্ষ থেকে নিহতের মায়ের হাতে সহযোগিতার অর্থ তুলে দেন।
তারও আগে গত ৬ জুন সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণে আহতদের খোঁজ-খবর নিতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ছুটে যান কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা নিয়াজ মোর্শেদ এলিট। ওই সময় তিনি বার্ন ইউনিটে ভর্তি হওয়া রোগীদের চিকিৎসার খোঁজ নেন এবং চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন।













