বোয়ালখালী প্রতিনিধি »
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা একজন রাষ্ট্রপতি বা রাষ্ট্র নায়ককে হত্যা, তা নয়। এদেশের স্বাধীনতাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যেই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছিল। আর সেই হত্যাকাণ্ডের অন্যতম প্রধান কুশীলব ছিল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ফজরের আলো ফোটার আগে যখন বঙ্গবন্ধুকে হত্যার সংবাদ জিয়াউর রহমানের কাছে পৌঁছে দেয়া হয়, তখন সেই ভোরবেলা সুটেট-বুটেট অবস্থায় থাকা জিয়ার স্বাভাবিক জবাব ছিল, কি হয়েছে তাতে, উপরাষ্ট্রপতিতো আছে ! তখন তিনি পোশাক পড়ে তৈরী ছিল বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডের খবরের অপেক্ষায়।
শনিবার (১৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের বোয়ালখালীর শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আয়োজনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বোয়ালখালীর শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রতন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন খোকনের সঞ্চালনায় এতে প্রধান বক্তা ছিলেন মোছলেম উদ্দিন আহমদ এমপি।
বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের চেয়ে বড় সুবিধাভোগী হচ্ছে জিয়াউর রহমান এবং তার পরিবার উল্লেখ করে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার প্রসিডিং সংরক্ষিত আছে, সেই মামলার প্রসিডিংয়ে আসামী এবং সাক্ষিরা তাদের জবানবন্দিতে সবিস্তারে বলেছেন কখন কোথায় কিভাবে জিয়াউর রহমানের সাথে দেখা করেছিল, তিনি কিভাবে ষড়যন্ত্রের সাথে যুক্ত ছিল।
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আলম, ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম সেলিম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীম আরা বেগম, আওয়ামী লীগ নেতা বোরহান উদ্দিন এমরান, শাহনেওয়াজ হায়দার শাহিন, আবুল কাশেম চিশতী, নিজাম উদ্দিন বাদশা, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নুরুল আমিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক শাহদাত হোসেন, পৌর মেয়র জহুরুল ইসলাম জহুর ও স্থানীয় চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মোকারম।
