৪ নভেম্বর ২০২৫

এপিক হেলথ কেয়ারের এক্রিডিটেশন সনদ অর্জন

বাংলাধারা প্রতিবেদন »

চট্টগ্রামের প্রথম এবং পুরো বাংলাদেশের মেডিকেল ল্যাবগুলোর (রোগ নিরূপনি কেন্দ্র) মধ্যে চতুর্থ হিসেবে ‘আইএসও ১৫১৮০:২০১২ এক্রিডিটেশন সনদ অর্জন করেছে এপিক হেলথ কেয়ার।

এ উপলক্ষে প্রতিষ্ঠানটি গতকাল দুপুরে এপিক হেলথ কেয়ারের প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন এপিক হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী এস এম লোকমান কবির।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বিভিন্ন শিল্পের জন্যে রয়েছে আন্তর্জাতিক গাইডলাইন, যার আলোকে প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হয়। এছাড়া আন্তর্জাতিকভাবে ওই সকল প্রতিষ্ঠানের গ্রহণযোগ্যতাও বিচার করা হয়।

একইভাবে মেডিকেল ডায়াগনোস্টিক প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্যে আন্তর্জাতিক নীতিমালা বিদ্যমান ও যে গাইডলাইন বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক স্বীকৃত তার নাম হল- ‘আইএসও ১৫১৮৯:২০১২’। কোনো প্রতিষ্ঠানের সুনির্দিষ্ট কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্যে প্রয়োজনীয় সক্ষমতা রয়েছে কিনা তা আন্তর্জাতিক মানের ভিত্তিতে মূল্যায়ন পূর্বক স্বীকৃতি প্রদান করার নাম হল ‘এক্রিডিটেশন’।

বাংলাদেশে ইন্টান্যাশনাল ল্যাবরেটরি এক্রিডিটেশন কো-অপারেশন (আইএলএসি), জিইএস ইন্টান্যাশনাল এক্রিডিটেশন ফোরাম (আইএএফ) দ্বারা অনুমোদিত ও স্বীকৃত এক্রিডিটেশন প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের নাম হলো ‘বাংলাদেশ এক্রিডিটেশন বোর্ড (বিএবি)’।

বাংলাদেশে আইএসও এক্রিডিটেড ল্যাব আছে মাত্র ৩টি এবং সবগুলোই ঢাকায় অবস্থিত। ফলে এতদিন ধরে চট্টগ্রামবাসী স্ট্যান্ডার্ড মানের সেবা থেকে স্বাভাবিকভাবেই বঞ্চিত হয়ে আসছিলেন। কিন্তু গত ২৩ ডিসেম্বর এপিক হেলথ কেয়ার আইএসও এক্রিডিটেড হওয়ায় চট্টগ্রামবাসী আধুনিক ল্যাবের সেবা থেকে আর বঞ্চিত হবে না। নিঃসন্দেহে এটি এপিক হেলথ কেয়ারের জন্য বিরাট প্রাপ্তি।

ওইদিনই শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন এবং প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এপিক হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী এস এম লোকমান কবিরের হাতে এক্রিডিটেশন সনদ হস্তান্তর করেন।

তিনি আরো বলেন, আপনারা জেনে আনন্দিত হবেন এপিক হেলথ কেয়ার ২০১৭ সাল থেকেই নিয়মিতভাবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান ‘বায়োরেড’ এবং ইংল্যান্ডের ‘র‌্যানডঙ’ এর এঙটারনেল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স (ইকিউএ) প্রোগ্রামে সাফল্যের সাথে অংশগ্রহণ করে যাচ্ছে। ২০১৭-২০১৮ সালের ইকিউএ প্রোগ্রামে বিশ্বব্যাপী প্রায় ১০ হাজার ল্যাব অংশগ্রহণ করে। বাংলাদেশ থেকে মাত্র ৮টি ল্যাব অংশগ্রহণ করেন এবং ২০১৮-১৯ সালের প্রোগ্রামে বাংলাদেশ থেকে ১২টি ল্যাব অংশ নেয়।

প্রতিবারই চট্টগ্রাম থেকে শুধুমাত্র এপিক হেলথ কেয়ার সাফল্যের সাথে অংশগ্রহণ করেন। ওইসব প্রোগ্রামের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারী বিশ্বের বিভিন্ন ল্যাব এর সাথে আমরা নিজেদের পারফরম্যান্সের পর্যালোচনা করতে পারি, ফলে অতি সহজেই বুঝা যায় আমাদের টেকনোলজিস্ট ও মেশিনের পারফরম্যান্স কি অবস্থায় আছে এবং কোন কোন জায়গায় আমাদের উন্নতি দরকার।

গত ২০১৫ সালের ১০ অক্টোবর থেকে এপিকের যাত্রা শুরু হয়। স্বাস্থ্যসেবার গুণগত মানের ‘বিশ্বমান’ বলতে যা বুঝায় তার বাস্তবায়ন করতেই ‘এপিক গ্রুপ’ সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে ‘এপিক হেলথ কেয়ার’ প্রতিষ্ঠিত করে।

এস এম লোকমান কবির বলেন, যখন বিশ্বের ছোট থেকে বড় প্রতিষ্ঠান সমূহ একটি স্ট্যান্ডার্ড গাইডলাইন অনুযায়ী তার বিভিন্ন টেকনিক্যাল ও অন্যান্য কার্যাদি সম্পন্ন করে তখনই কেবল এদের পরস্পর তুলনা করা যায় এবং মান যাচাই করা যায়। আইএসও এক্রিডিটেশন সনদ অর্জনের ফলে প্রতিষ্ঠান ও তার কাজের আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি হয়। ফলে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে অন্যান্য দেশ ও প্রতিষ্ঠানের সাথে প্রতিযোগী হয়ে নিজ দেশের গুণগত সেবা ও মানকে তুলে ধরা যায়।

গুণগত মানের ক্ষেত্রে আমাদের মধ্যে যে একপ্রকার নেতিবাচক মনোভাব বিদ্যমান তা এক্রিডিটেশনের মাধ্যমে অনেকাংশে কমে আসবে কেননা এর মাধ্যমে ল্যাব এর জবাবদিহিতা বাড়ে, নিজের কর্মের পর্যালোচনা ও প্রতিকার সম্পর্কিত কাজসমূহের তৎপরতা বাড়ে, সম্পাদিত কার্যাদি (বিভিন্ন পরীক্ষা করার নিয়ম ও পদ্ধতি) নিজস্ব অডিট ছাড়াও দেশ-বিদেশের তৃতীয় ও নিরপেক্ষ কর্তৃপক্ষের অডিট ও তত্ত্বাবধান এর আওতায় চলে আসে।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এপিক হেলথ কেয়ারের পরিচালকপ প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন, পরিচালক (প্রশাসন) ডা. এনামুল হক, নিবার্হী পরিচালক (বিপণন) টি এম হান্নান, পরিচালক (ব্যবসা উন্নয়ন) মো. জসীম উদ্দিন।

বাংলাধারা/এফএস/টিএম

আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও

সর্বশেষ