৫ নভেম্বর ২০২৫

এসএসসি পাস না করেও এমবিবিএস ‘ডাক্তার’, ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু

বাংলাধারা ডেস্ক »

নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলায় এসএসসি পাস না করেও নিজেকে এমবিবিএস দাবি করা এক ভুয়া ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই রোগীর স্বজনরা জুলফু মিয়া ফিরোজ নামে ওই কথিত ডাক্তারের চেম্বার ভাঙচুর করেছে।

গত শনিবার চাটখিল পৌরশহরের চাটখিল ডায়াবেটিস অ্যান্ড প্যাথলজি সেন্টারে এ ঘটনা ঘটার পর থেকে ওই চিকিৎসক পলাতক রয়েছেন।

রোগীর কয়েকজন স্বজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত শনিবার দুপুরে উপজেলার রেজ্জাকপুর এলাকার সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী লাখী আক্তারের (৪৮) বুকে ব্যথা শুরু হলে তাকে চাটখিল পৌরশহরের চাটখিল ডায়াবেটিস অ্যান্ড প্যাথলজি সেন্টারে নিয়ে যান তার স্বজনরা। সেখানে ওই প্রতিষ্ঠানের পরিচালক জুলফু মিয়া ফিরোজ চারটি ইনজেকশন পুশ করে রোগীকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। রোগী বাড়ি যাওয়ার পর থেকে শরীরে যন্ত্রণা অনুভব করতে থাকেন। এক পর্যায়ে রোগীর অবস্থা ক্রমান্বয়ে খারাপের দিকে গেলে রাত সাড়ে ৮টার দিকে রোগীকে চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই রোগীকে মৃত ঘোষণা করেন।

এই ঘটনা জানতে পেরে ফিরোজ তার চেম্বার বন্ধ করে পালিয়ে যান। এদিকে রোগীর স্বজনরা ক্ষিপ্ত হয়ে তার চেম্বার ভাঙচুর করে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ফিরোজ এসএসসি পাস না করেও নিজেকে এমবিবিএস ডাক্তার পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা করে আসছেন। গত দুই বছর আগে ভ্রাম্যমাণ আদালত তার এই প্রতারণার জন্য তাকে তিন মাসের কারাদণ্ড দেন। সাজা খেটে এসে আবারও তিনি প্রতারণার মাধ্যমে ব্যবসা শুরু করেন। এ ছাড়া প্রায় এক বছর আগে হাইকোর্ট এমবিবিএস ডাক্তার ছাড়া আর কেউ নামের সঙ্গে ডাক্তার লিখতে পারবেন না মর্মে রায় দিলেও হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে ফিরোজ তার নামের সঙ্গে ডা. যোগ করে নিজেকে এমবিবিএস পরিচয় দিয়ে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছেন।

এ বিষয়ে কথা বলতে পলাতক ফিরোজের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এ প্রসঙ্গে চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘এই ব্যাপারে এখনো কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলেই যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

সূত্র: দৈনিক আমাদের সময়

বাংলাধারা/এফএস/এমআর

আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও

সর্বশেষ