কর্ণফুলী প্রতিনিধি »
পশ্চিম পটিয়া এ.জে চৌধুরী কলেজে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তিতে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগে ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসক বরাবর সুপারিশ করেছেন কর্ণফুলী উপজেলা প্রশাসন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ শামসুল তাবরীজ। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারি করা নীতিমালা লঙ্ঘন করে শিক্ষার্থী ভর্তিতে অতিরিক্ত ফি আদায় করছে প্রতিষ্ঠানটি। স্থানীয়দের এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠানটিতে একাদশ শ্রেনীতে ভর্তি ফি’র অতিরিক্ত টাকা আদায়সহ শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ ফান্ডের নামে প্রত্যেক শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করার রশিদ পেয়েছে।
এমন অভিযোগ পেয়ে কর্ণফুলী ইউএনও তাৎক্ষনিক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মহোদয়ের সাথে আলাপ করে আদায়কৃত অতিরিক্ত ফি ফেরত প্রদানের নির্দেশ দেন। কিন্তু পরবর্তীতে অতিরিক্ত আদায়কৃত ভর্তি ফি ফেরত প্রদানের কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে সংশ্লিষ্টদের দাবি।
তথ্যমতে, উপজেলার একমাত্র কলেজ হওয়াতে গরিব শিক্ষার্থীরা এ কলেজে পড়ালেখা করেন। ফলে অতিরিক্ত ফি আদায় হলে গরিব শিক্ষার্থীরা ঝরে পড়ার আশংকা ও অভিভাবকেরা আর্থিক ক্ষতিগ্রস্তের সম্মুখীন হতে পারে।
এ.জে চৌধুরী কলেজের অধ্যক্ষ মো. জসিম উদ্দিন বলেন, বরাবরের মতো নিয়ম অনুযায়ী ফি আদায় করা হয়েছে। কেউ লিখিত অভিযোগ করে জানায় নি অতিরিক্ত ফি আদায় করা হয়েছে। তারপরেও বিষয়টি কলেজ কতৃপক্ষ তদারকি করে দেখছে।
এ বিষয়ে কর্ণফুলী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ শামসুল তাবরীজ জানান, অতিরিক্ত ফি আদায় ও কল্যাণ ফান্ডের নামে অর্থ আদায় করায় সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সুপারিশ করা হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের নীতিমালার ১১.৩ অনুচ্ছেদে সরকার নির্ধারিত ফি’র উল্লেখ ছিল। কিন্তু শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারি করা নীতিমালা লঙ্ঘন করে শিক্ষার্থী ভর্তিতে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার কারণে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় বলে এলাকাবাসী জানান।
বাংলাধারা/এফএস/এমআর













