৯ ডিসেম্বর ২০২৫

ওয়েল পার্কে বিদেশী পর্যটককে মেয়াদোত্তীর্ণ কোক পরিবেশনের অভিযোগ

বাংলাধারা প্রতিবেদন »

নগরীর তিন তারকা হোটেল ওয়েল পার্ক রেসিডেন্সে এক ভারতীয় পর্যটককে মেয়াদ উত্তীর্ণ ডায়েট কোক ও নিম্নমানের খাবার পরিবেশনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। যা খেয়ে মিঃ ধর্মেশ নামের ওই পর্যটক অসুস্থ হয়ে ‍পড়েন।

পরবর্তীতে ভুক্তভোগী পর্যটক আনুষ্ঠানিকভাবে হোটেল কতৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দিয়ে ম্যানেজারের শাস্তি দাবি করেন। অন্যথায় তিনি বিষয়টি যথাযথ কতৃপক্ষকে অবহিত করার বিষয়টিও উল্লেখ করেন।

ভুক্তোভোগী পর্যটক ধর্মেশ বাংলাধারাকে জানান, আমি প্রায়ই চট্টগ্রামে আসি বিভিন্ন কাজের জন্য। এখানে এসে প্রত্যেকবারই ওয়েল পার্ক হোটেলে অবস্থান করি। গতকাল রাতে আমি হোটেলে এসে রাতের খাবার খেয়ে ডোয়েট কোক আনতে বলি। কোকটি পান করার পর বালু অনুভব করি। পরে কিছু সময় যাওয়ার পর আমার অস্বস্ত্বিবোধ হয়। তখন আমি খেয়াল করে দেখি সরবরাহ করা ডায়েট কোকটি মেয়াদোত্তীর্ণ ছিল। যার মেয়াদের শেষ তারিখ ছিল ১০ ডিসেম্বর ২০১৮(১০.১২.১৮)। 

তিনি আরও বলেন, তারা যদি এই ধরনের খাবার এবং পানীয় সরবরাহ করে তবে চট্টগ্রামের হোটেল ব্যবসায় আন্তর্জাতিক অতিথিদের কাছে সুখ্যাতি কমাবে। আমি হোটেল এবং এই হোটেলের ম্যানেজারের শাস্তি চাই যারা তাদের হোটেলে মেয়াদোত্তীর্ণ পানীয় রাখে।

তবে ওয়েল পার্ক রেসিডেন্সের মার্কেটিং ম্যানেজার মামুন আল রশিদ মেয়াদ উত্তীর্ণ ডায়েট কোক পরিবেশনের অভিযোগটি অস্বীকার করে বাংলাধারকে বলেন, যে প্রডাক্টটির বিষয়ে ভারতীয় পর্যটক অভিযোগ করেছেন সেটি আমাদের নয়। তারপরও আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি। তদন্তের পর বোঝা যাবে প্রডাক্টটি এখানে কিভাবে আসলো।

ভারতীয় পর্যটককে দেয়া ওয়েল পার্ক কতৃপক্ষের বিলে ডায়েট কোক পরিবেশন করার উল্লেখ থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, হোটেল থেকে যে কোকটি সার্ভ করা হয়েছিল আর যে কোকটির বিষয়ে অভিযোগ করা হয়েছে তা এক নয়।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক হাসানুজ্জামান বলেন, মেয়াদোত্তীর্ণ খাবার বা পানীয় সরবরাহ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন অনুসারে ৫১ ধারায় অপরাধ। ভুক্তভোগী পর্যটকের অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বাংলাধারা/এফএস/এমআর/এসবি

আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও

সর্বশেষ