২৪ অক্টোবর ২০২৫

ওষুধ খাতে রপ্তানিকারক হিসেবে যাত্রা করছে এলবিয়ন ল্যাবরেটরিজ

বাংলাধারা ডেস্ক »

পাহাড় সমান সীমাবদ্ধতা থাকার পরেও বাংলাদেশের ওষুধ শিল্প বিস্ময়কর ভাবে প্রসারিত হচ্ছে। বিশ্ববাজারে দিনকে দিন শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বি হওয়ার পাশাপাশি শীর্ষস্থানীয় রপ্তানিকারক দেশ হিসাবেও আর্বিভূত হয়েছে বাংলাদেশ। দেশের ৯৮ শতাংশ চাহিদা মিটিয়ে বিশ্বের ১৬০ দেশে বাংলাদেশ ওষুধ রপ্তানি করছে। এশিয়া, আফ্রিকার পর এখন ইউরোপ ও আমেরিকার বাজারেও জেঁকে বসেছে বাংলাদেশের ওষুধ।

ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানিগুলোর উৎপাদন সক্ষমতায় বাংলাদেশ ওষুধি শিল্পে বেশ সফলতা অর্জন করেছে। দেশে বর্তমানে ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানি রয়েছে ২৫৭টি। যাদের হাত ধরে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক মানের ওষুধ উৎপাদনে সেরা মাইলফলক অর্জন করেছে। ফার্মাসিউটিক্যালস ইন্ডাস্ট্রির হাতে রচিত হচ্ছে দেশের চিকিৎসা ক্ষেত্রে এগিয়ে যাওয়ার অনেক অর্জন। বাংলাদেশে এখন ক্যান্সারের ঔষধ উৎপাদন করছে ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানিগুলো।

বর্তমানে দেশে ২৫৭টি ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানিগুলোর মধ্যে একটি এলবিয়ন ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড। এটি চট্টগ্রামভিত্তিক এলবিয়ন গ্রুপের একটি সহযোগি প্রতিষ্ঠান। ওষুধ খাতে দেশের নতুন রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান হিসেবে আগামী মাসেই যাত্রা করছে এলবিয়ন ল্যাবরেটরিজও।

এ প্রতিষ্ঠানের রপ্তানির অপেক্ষায় রয়েছে ৬৬ হাজার ৬৯০ ডলারের ওষুধ, যার প্রথম চালানের জাহাজীকরণ হতে যাচ্ছে আগামী মাসেই। আফগানিস্তানের কাবুলের উদ্দেশে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে এ জাহাজীকরণ সম্পন্ন হবে।

জানা গেছে, গত ২৯ মে রপ্তানির ব্যাপারে নিশ্চয়তা মেলে। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী আমদানিকারক দেশ থেকে প্রথম চালানের অগ্রিম ২০ শতাংশ অর্থ দেশে পৌঁছে গত ৯ জুন। এভাবেই উৎপাদন ও রফতানিতে ভিত শক্ত করে বড় হয়ে উঠছে চট্টগ্রামভিত্তিক প্রথম ওষুধ রপ্তানিকারক হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেতে যাওয়া এলবিয়ন।

চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি আদর্শ উৎপাদন চর্চা (গুড ম্যানুফ্যাকচারিং প্র্যাকটিস বা জিএমপি) সনদ অর্জন করে প্রতিষ্ঠানটি। এরপর আফগানিস্তান ছাড়াও ইয়েমেন, কম্বোডিয়া, মিয়ানমার ও ভুটান এ চারটি দেশে ওষুধ রপ্তানি একেবারে দ্বারপ্রান্তে এলবিয়ন ল্যাবরেটরিজ।

এর মধ্যে ইয়েমেন ও কম্বোডিয়ায় রপ্তানির সব ধরনের প্রক্রিয়া একেবারেই শেষ পর্যায়ে। ইয়েমেনে ৫৩ হাজার ৬৫০ ডলারের ১০টি ওষুধ পণ্যের রপ্তানি সংক্রান্ত ইনভয়েস ইস্যু হয়ে গেছে। করোনা পরিস্থিতির কারণে পিছিয়ে আগামী বৃহস্পতিবার সেখানকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভায় এর অনুমোদন হওয়ার বিষয়টিও নিশ্চিত করা হয়েছে সে দেশ থেকে। ইয়েমেনের এডেন সি-পোর্টের উদ্দেশে ওষুধের চালানটি আগামী অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পাঠানোর প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে এলবিয়ন কর্তৃপক্ষ। অন্য দেশ কম্বোডিয়ায় রপ্তানির উদ্দেশে নির্বাচিত ১৪ ধরনের ওষুধের ব্যাপারে চুক্তি সম্পন্ন করা হয়েছে।

এছাড়া মিয়ানমার ও ভুটানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভায় অনুমোদন পেতে এলবিয়নের পক্ষ থেকে শেষ ধাপের ডকুমেন্টস পাঠানো হবে চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে।

এলবিয়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান রাইসুল উদ্দিন সৈকত জানান, চট্টগ্রামভিত্তিক প্রথম ওষুধ রপ্তানিকারক হিসেবে যাত্রা শুরু করতে পারাটা আমাদের জন্য অনেক বড় আনন্দের। ধাপে ধাপে ওষুধ খাতে নিজেদের মেধা, শ্রম, অভিজ্ঞতা এবং সেই সঙ্গে বিনিয়োগ বাড়িয়ে রপ্তানির বাজারে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে আনবো। আমার বাবার হাতে প্রতিষ্ঠিত এলবিয়ন দেশের বাজারেও জায়ান্ট হয়ে উঠবে।

বাংলাধারা/এফএস/এআই

আরও পড়ুন