কক্সবাজার প্রতিনিধি »
বন্ধুত্বের মাধ্যমে শান্তি বৃদ্ধির লক্ষ্যে কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত হয়েছে ৪৬তম ইন্দো-প্যাসিফিক আর্মিজ ম্যানেজমেন্ট সেমিনার (আইপিএএমএস) ।
‘ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে সহযোগিতা বাড়াতে সামরিক কূটনীতি’ প্রতিপাদ্য বিষয়ে মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কক্সবাজারের ইনানীতে হোটেল সী পার্লে সম্মেলন কক্ষে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে ২৪টি দেশের সামরিক বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশগ্রহন করছেন।
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনীর যৌথ আয়োজনে ৪৬তম ‘আইপিএএমএস’ এ অংশগ্রহনকারী অন্যান্য সদস্যরা বলিষ্ঠ শান্তিরক্ষা মিশন ও এ বিষয়ে করণীয় শীর্ষক ব্রেক আউট সেশন এবং জুনিয়র নেতৃবৃন্দ পেশাদারিত্বের উপর পৃথক পৃথক আলোচনা করেন।
আগামি ১৫ সেপ্টম্বর পর্যন্ত এ সেমিনার চলবে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা। তারা বলেন, এই সম্মেলন এ অঞ্চলের স্থলবাহিনীর বৃহত্তম সমাবেশ। যার মূল উদ্দেশ্য হলো পারস্পারিক বোঝাপড়া, সংলাপ ও বন্ধুত্বের মাধ্যমে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা আরও বৃদ্ধি করা।
সম্মেলনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ এবং যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনীর প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রধান জেনারেল চার্লস এ ফ্লিন উপস্থিত ছিলেন।
পরে সম্মেলনে অংশগ্রহনকারী দেশ সমূহের সামরিক কর্মকর্তাগণ উখিয়ার কুতুপালংএ বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মায়ানমার নাগরিকদের (এফডিএমএন) ক্যাম্প এলাকা পরিদর্শন ও মতবিনিময় করেন।
এসময় বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিক প্রতিনিধি দল তাদের সমস্যা ও সুপারিশ তুলে ধরে। এছাড়াও সম্মেলনে অংশগ্রহনকারী দলকে ক্যাম্পে কর্মরত জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিগণ এবং শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার ব্রিফিং দেন। এর মাধ্যমে ২৪টি দেশের প্রতিনিধিগণ বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের ক্যাম্পের বাস্তব চিত্র স্বচক্ষে অবলোকন করলেন।













