কক্সবাজার সদর উপজেলায় ছুরিকাঘাতে আমজাদ হোসেন নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাদ্দাম হোসেনের ছোট ভাই বলে জানা গেছে।
নিহতের পরিবার ও ছাত্রদল নেতার দাবি, পূর্ব শত্রুতা এবং এলাকায় রাজনৈতিক ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জেরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ–সংশ্লিষ্ট একাধিক ব্যক্তি এই হামলায় জড়িত।
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) মাগরিবের নামাজের পর সদর উপজেলাধীন চৌফলদন্ডী এলাকায় এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকা আমজাদ হোসেন সম্প্রতি দেশে ফিরেছিলেন। সন্ধ্যায় তিনি নিজের টমটম (ইজিবাইক) নিয়ে বাজারে যাওয়ার সময় একদল লোক তাকে একা পেয়ে পথ আটকায়। এরপর তাকে মারধর করা হয় এবং একপর্যায়ে ছুরি দিয়ে আঘাত করলে তিনি গুরুতর আহত হন। নিহত আমজাদ একজন জামায়াত কর্মী বলে জানা যায়।
আমজাদকে প্রথমে ঈদগাহ মেডিকেল ও পরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বর্তমানে তার মরদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
নিহত আমজাদের ভাই, ছাত্রদল নেতা সাদ্দাম হোসেন সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, যারা এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত তারা সকলেই আওয়ামী যুবলীগের পরিবারের সদস্য এবং এলাকায় রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী।
তিনি দাবি করেন, দীর্ঘদিন ধরে তাদের পরিবারের সঙ্গে হামলাকারী পরিবারের সমস্যা ছিল। সেই পূর্ব শত্রুতা ও এলাকায় প্রভাব-ক্ষমতা ধরে রাখতে তার ভাইকে অতর্কিতভাবে হামলা করে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি এই হত্যায় রাফি, শাহাদাত, সাবেক যুবলীগ নেতা আবছার কামাল ও আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ নূর সহ আরও বেশ কয়েকজন জড়িত বলে নাম উল্লেখ করেছেন।
হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে কক্সবাজার সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহমেদ পেয়ার বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করে জড়িতদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে হত্যার সঠিক কারণ উদঘাটনের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রক্রিয়াও চলছে।
