কক্সবাজারের সদরের খুরুশকুলে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ডাকাত চক্রের ৭ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৫। এসময় তাদের কাছ থেকে দেশীয় তৈরী অস্ত্র-শস্ত্রও জব্দ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাত তিনটার দিকে খুরুশকুলের কুলিয়াপাড়ায় র্যাব-১৫ কক্সবাজার সিপিএসসি কোম্পানীর একটি চৌকস আভিযানিক দল অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার ও দেশীয় তৈরী অস্ত্র জব্দ করা হয় বলে জানিয়েছেন সিনিয়র সহকারী পরিচালক (ল’ এন্ড মিডিয়া) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবু সালাম চৌধুরী।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, জসিম উদ্দিন (২৮), নুরুল ইসলাম রাকিব (২২), আব্দুল খালেক রুবেল (২৭), মো. আলম মিয়া (২০), মো. আব্দুল্লা (২০), সাইফুল ইসলাম (২৩) ও রবিউল হাসান (১৯)।
র্যাব-১৫ এর ল’ এন্ড মিডিয়া কর্মকর্তা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সালাম চৌধুরী বলেন, সম্প্রতি কক্সবাজারে চুরি-ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের প্রবণতা বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে পর্যটক ও স্থানীয়দের জানমালের নিরাপত্তা বিধানে র্যাবের গোয়েন্দা তৎপরতা ও নজরদারী বৃদ্ধি করে। র্যাব-১৫ দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় অপরাধের সাথে জড়িত চক্রগুলোকে গ্রেফতারসহ জেলার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে র্যাবের আভিযানিক দল সদা অভিযান পরিচালনা করে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় কক্সবাজার শহরের বিভিন্ন এলাকায় সংঘঠিত চুরি-ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের সাথে জড়িত অপরাধীদেরকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাব-১৫ অনুসন্ধানে নামে। একপর্যায়ে গত ৭ সেপ্টেম্বর রাতে র্যাবের আভিযানিক দল গোয়েন্দা সূত্রে জানতে পারে, কক্সবাজার সদরের খুরুশকুল ইউনিয়নের কুলিয়াপাড়ায় কক্সবাজার কমার্স কলেজ সংলগ্ন খুরুশকুল রাস্তার মাথা হতে টাইম বাজারগামী পাকা রাস্তার পূর্ব পাশে জনৈক আলমগীরের বসত বাড়ির সামনে থাকা সাবেক সাংসদ খান বাহাদুর মোস্তাক আহমেদ চৌধুরীর মালিকানাধীন ভিটার উত্তর কোণে একটি ডাকাত দল দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রসহ সমবেত হয়ে ডাকাতির প্রস্তুতি গ্রহণ করছে। এখবরে রাত অনুমান ৩টার দিকে র্যাব-১৫ কক্সবাজার সিপিএসসি কোম্পানীর একটি চৌকস আভিযানিক দল ওই স্থানে বিশেষ অভিযান চালায়। এ সময় ডাকাত চক্রটি র্যাবের অভিযানিক দলের উপস্থিতি বুঝতে পেরে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রসহ দিক-বিদিক দৌড়ে ঘটনাস্থল থেকে পালানোর চেষ্টাকালে চক্রের ৭ জনকে র্যাব গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
তাদের হেফাজত হতে একটি রামদা, দুটি কিরিচ, একটি সুইচ গিয়ার চাকু, একটি টর্চ লাইট, চারটি মোবাইল ফোন, চারটি সীম কার্ড এবং নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, চক্রটি একত্রে সমবেত হয়ে পরস্পর জ্ঞাতসারে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রসহ উক্ত স্থানে ডাকাতির উদ্দেশ্যে প্রস্তুতি গ্রহণ করছিল। ইতিপূর্বে চক্রটি কক্সবাজারের বিভিন্ন পয়েন্টে পর্যটক ও স্থানীয়দপর অস্ত্রের ভয় প্রদর্শন করে ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের মত নানাবিধ অপরাধ সংঘঠিত করে আসছিল। আটক চক্রটির বিরুদ্ধে ইতোপূর্বেও বিভিন্ন থানায় অস্ত্র আইন, ডাকাতি প্রস্তুতি, মাদক, চুরিসহ কমপক্ষে এক ডজন মামলা রয়েছে। এসব মামলায় তারা একাধিকবার গ্রেফতারও হয়েছে।
উদ্ধারকৃত আলামতসহ ধৃত ডাকাত চক্রের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণার্থে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে।













