৮ ডিসেম্বর ২০২৫

কক্সবাজারে দূর্বৃত্তের গুলিতে শ্রমিকলীগ সভাপতি ও মেম্বার প্রার্থী সহোদর গুলিবিদ্ধ

জেলা প্রতিনিধি, কক্সবাজার»

কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের প্রবেশমূখ লিংকরোডে দুর্বৃত্তের গুলিতে জেলা শ্রমিকলীগ সভাপতি জহিরুল ইসলাম সিকদার ও তার ভাই ঝিলংজা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সদস্য প্রার্থী বর্তমান মেম্বার কুদরত উল্লাহ সিকদার গুলিবিদ্ধ হয়েছে। আহতরা কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদের মাঝে মেম্বার কুদরত উল্লাহ সিকদারের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তিনি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।

শুক্রবার (৫ নভেম্বর) রাত সোয়া ১০ টার দিকে একদল দুর্বৃত্ত মোটর সাইকেল যোগে লিংকরোডস্থ কুদরত উল্লাহর অফিসের সামনে এসে অতর্কিত গুলি করে পালিয়ে যায়।

স্থানীয় সূত্র জানায়, লিংকরোডে কুদরত উল্লাহ তার ব্যক্তিগত অফিসে বসে জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি ও তার বড় ভাই জহিরুল ইসলামসহ নেতাকর্মীদের সাথে নির্বাচনের বিষয়ে কথা বলছিলেন। এসময় মোটর সাইকেল নিয়ে একদল লোক এসে অফিসের ভেতরে গুলি করে পালিয়ে যায়। অপর সুত্র বলছে, দুর্বৃত্তরা সিএনজি অটোরিক্সা নিয়ে এসে গুলি করে দ্রুত পালিয়ে গেছে।

আহতদের বরাত দিয়ে জেলা শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক শফিউল্লাহ আনসারী বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে একই ওয়ার্ডের অপর মেম্বার প্রার্থী লিয়াকত ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী মোটর সাইকেল নিয়ে এসে জহির ও কুদরতকে গুলি করে পালিয়ে যায়। এতে কুদরত উল্লাহ হাতের একটি আঙ্গুল ছিড়ে গেছে। তার বুকে ও পেটে চারটি গুলির ক্ষত রয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। তার অবস্থা আশংকাজনক। তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে নেয়া হয়েছে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে অপর মেম্বার প্রার্থী লিয়াকত আলীর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয়। প্রথমে রিং পড়লেও পরে তিনি মোবাইল বন্ধ করে ফেলায় তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, লিংকরোড বনফুল রেষ্টুরেন্টের সামনে দুর্বৃত্তরা হঠাৎ এসে প্রথমে তাদের দুজনকে টার্গেট করে ককটেল নিক্ষেপ করে। এতে আশপাশের সাধারন মানুষ সরে যায়। ঠিক তখন তাদের দুজনের গায়ে ৩ রাউন্ড গুলি করে দুর্বৃত্তরা। দু’রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে দুর্বৃত্তরা দ্রুত পালিয়ে যায়।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) বিপুল চদ্র দে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল ও কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পুলিশের পৃথক দুটি টিম পাঠানো হয়েছে। গুলির ঘটনায় যেই জড়িত থাকুক তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উল্লেখ্য, ভোটের আগে এমন অনাকাঙ্খিত ঘটনার আশঙ্কা করে কয়েকদিন আগে নির্বাচন কর্মকর্তাকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন কুদরত উল্লাহ সিকদার। প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী লিয়াকত আলীও এমন ঘটনার আশঙ্কা করে পাল্টা অভিযোগ দিয়েছিলেন বলে জানা গেছে। সুষ্ঠু নির্বাচন প্রক্রিয়া ভন্ডুল ও দুই প্রার্থীর মধ্যে বিরোধ লাগিয়ে দিতে তৃতীয় কোনো পক্ষ এ কাজ করেছে কিনা, তদন্তের দাবি করেছে স্থানীয়রা।

বাংলাধারা/এফএস/এফএস

আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও

সর্বশেষ