৩০ অক্টোবর ২০২৫

কক্সবাজারে পর্যটক হয়রানি বন্ধে প্রশাসনের ৭ সিদ্ধান্ত

কক্সবাজার প্রতিনিধি »

কক্সবাজারে ভ্রমণে আসা পর্যটকদের হয়রানি বন্ধ, নিরাপত্তা ও সেবার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে সাতটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন। এ উপলক্ষে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রতিটি আবাসিক হোটেলে একটি অভিন্ন আদর্শ কর্মপদ্ধতি এবং নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা চালু ও জোরদারের উপর গুরুত্বারূপ করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের এটিএম জাফর আলম সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদের সভাপতিত্বে সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো হলো—

১. সব আবাসিক হোটেলে রুম বুকিং দেওয়ার সময় পর্যটকদের জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদর্শন ও ছায়াকপি জমা নেওয়া বাধ্যতামূলক করতে হবে।

২. আবাসিক হোটেলসমূহে অনুসরণীয় একটি অভিন্ন আদর্শ কর্মপদ্ধতি (এসওপি) প্রণয়ন করা হবে।

৩. প্রতিটি হোটেলে কক্ষসংখ্যা, মূল্য তালিকা ও খালি কক্ষের সংখ্যা সম্বলিত ইলেকট্রনিক ডিসপ্লে বোর্ড স্থাপন করতে হবে।

৪. পর্যটকদের সুবিধার্থে ডলফিন মোড়ে সুবিধাজনক স্থানে একটি তথ্যকেন্দ্র ও হেল্পডেস্ক স্থাপন করা হবে।

৫. প্রতিটি আবাসিক হোটেলে নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা চালু ও জোরদার করতে হবে।

৬. হোটেল-মোটেল জোনে অবৈধ পার্কিং এবং সমাজবিরোধীদের কর্মকাণ্ড বন্ধে অভিযান জোরদার করা হবে।

৭. হোটেল-মোটেল মালিক সমিতি জেলা প্রশাসনের সহায়তায় তাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য প্রশিক্ষণের আয়োজন করবে।

গুরুত্বপূর্ণ এ সভায় পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান, টুরিস্ট পুলিশের পুলিশ সুপার মো. জিললুর রহমান, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, সহ-সভাপতি মো. রেজাউল করিম, কক্সবাজার প্রেস ক্লাব সভাপতি আবু তাহেরসহ পর্যটনশিল্প সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস ও সাপ্তাহিক মিলিয়ে টানা তিনদিনের ছুটিকে কাজে লাগিয়ে কক্সবাজারে ৫ লাখের অধিক পর্যটক আগমন ঘটে। এসময় অতি পর্যটক আসায় হোটেলের কক্ষ ভাড়া নিয়মের চেয়ে কয়েকগুণ বাড়তি নেয়া হয়। নৈরাজ্য চলে খাবার হোটেলেও। এনিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারের পর পর্যটন জোনের সার্বিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে সর্বত্র সমালোচনার ঝড় উঠে। এরপর বিভিন্ন দিক থেকে দাবি উঠে হোটেল ভাড়া ও খাবারের মূল্য এবং আনুষঙ্গিক সকল বিষয়ে প্রশাসনের নিয়ম যেনো বেঁধে দেওয়া হয়। অবশেষে পর্যটনের স্বার্থে শুক্রবার বৈঠক বসে জেলা প্রশাসন হোটেল-মোটেল জোনের ভাড়া নৈরাজ্যের লাগাম টানার বিষয়ে একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছে।

আরও পড়ুন