২৪ অক্টোবর ২০২৫

কক্সবাজারে প্লাবন পরিস্থিতির উন্নতি, ভেসে উঠছে ক্ষত

কক্সবাজারে সৃষ্ট প্লাবন পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হয়েছে। শুক্র ও শনিবার (২ ও ৩ আগস্ট) বৃষ্টি কমে যাওয়ায় বাকখাঁলী, মাতামুহুরী নদী ও রেজুখালের পানি হ্রাস পেয়েছে। নেমে গেছে উপকূলীয় ও নিচু এলাকায় জমা পানিও। এতে স্বস্তি ফিরেছে দুর্গত মানুষের। আর পানি নেমে যাওয়ার পর দৃশ্যমান হচ্ছে ক্ষয়ক্ষতি।

এর আগে গত সোমবার হতে বৃহস্পতিবার গভীর রাত পর্যন্ত টানা ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কক্সবাজারে প্লাবন দেখা দেয়। এতে জেলার ৭টি উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের উপকূল ও নিচু এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়ে উখিয়া, চকরিয়া, কক্সবাজার সদর ও রামু এলাকার অন্তত ২৫০ গ্রাম। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েন এসব এলাকার অন্তত ৩ লাখ মানুষ। প্লাবনের পানিতে ডুবে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয় কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড়ক। এছাড়া বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় চকরিয়া মানিকপুর সড়ক, রামু নাইক্ষ্যংছড়ি সড়কসহ জেলার বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক সড়কে যোগাযোগ পুণঃস্থাপিত হয়েছে। তবে এখনও কিছু উপকূলীয় এলাকায় বন্যার পানি থেকে যাওয়ায় সেখানকার বাসিন্দারা দুর্ভোগে আছেন বলে প্রকাশ পায়। দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি ও খাবারের সংকট।

কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা ইউপি চেয়ারম্যান টিপু সুলতান জানান, দুদিন ধরে বৃষ্টি কম হওয়ায় জমা পানি নেমে যাচ্ছে। বৃষ্টিতে আমার ইউনিয়নে ফসল ও ক্ষেত খামারের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এখন পানি নেমে যাওয়ায় ভেসে উঠছে ক্ষত চিহ্ন। প্লাবিত এলাকা গুলোয় বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে।

উখিয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রাসেল চৌধুরী বলেন, শুক্র ও শনিবার বৃষ্টি না থাকায় রেজুখালের পানি নেমে যাচ্ছে। সেই সাথে পানি কবলিত এলাকা গুলোও শুকিয়ে আসছে। এখন ফুটে উঠছে ক্ষত চিহ্ন। শ্রাবণের শুরু ও মাঝামাঝি টানা বর্ষণে জেলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয় উখিয়া উপজেলা। পানিতে ফসল, মাছের ঘের ও ক্ষেত খামারের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। দুর্গত এলাকার বাসিন্দারা খুব কষ্টে আছেন। তাদের জন্যে পর্যাপ্ত সাহায্য সহযোগিতা প্রয়োজন।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান জানান, কক্সজারের ৭ উপজেলার দুর্গতদের জন্য ৪৭ মেট্রিক টন চাউল ও নগদ ৫ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। প্রয়োজনে আরও অর্থ ও ত্রাণ দেয়া হবে। তিনি জানান, প্লাবনে ক্ষয়ক্ষতির তথ্য নিরুপণের প্রক্রিয়া চলছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।

আরও পড়ুন