কক্সবাজার প্রতিনিধি »
কক্সবাজারের দক্ষিণ বনবিভাগের সামাজিক বনায়ন উপকারভোগীদের মাঝে লভ্যাংশের চেক হস্তান্তর করেছেন প্রধান বন সংরক্ষক (সিএফ) মোহাম্মদ সফিউল আলম চৌধুরী।
কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের রাজারকুল রেঞ্জের ২০০৫-০৬ এবং ২০০৭-০৮ সনের উপকারভোগী গণের মাঝে শুক্রবার বিকেলে এ চেক হস্তান্তর করা হয়। এতে প্রত্যেক উপকারভোগী প্রায় ২ লাখ টাকা করে লভ্যাংশ পেয়েছেন।
কক্সবাজার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও-দক্ষিণ) মো. হুমায়ুন কবির জানান, স্বল্প সংখ্যক বনকর্মী দিয়ে বনরক্ষা কষ্টকর হওয়ায় নব্বই দশকের শেষের দিকে স্থানীয়দের সম্পৃক্ত করে সামাজিক বনায়ন প্রকল্প সৃজন করা হয়। সরকারি সম্পৃক্ততায় বাগান করে বনকর্মীদের পাশাপাশি উপকারভোগীরা পাহারা নিশ্চিত করায় আশানুরূপ বাগান বড় করা সম্ভব হয়েছে।
‘দক্ষিণ বন বিভাগের রাজারকুল রেঞ্জে ২০০৫-০৬ সনের ৫০ জন ও ২০০৭-০৮ সনে ৩০ জন উপকারভোগী নির্বাচন হয়। নির্ধারিত সময়ে বড় হওয়া গাছ কর্তন করে বিক্রির পর চুক্তি অনুসারে টাকার ভাগ উপকারভোগীদেরও দেয়া হয়েছে। ২০০৫-০৬ সনের প্রত্যেকে উপকারভোগী ১ লাখ ৯৯ হাজার ৫০৭ টাকা এবং ২০০৭-০৮ সনের উপকারভোগী প্রত্যেকে ১ লাক ২২ হাজার ৪২৪ করে লভ্যাংশ পেয়েছেন।’
রেঞ্জ কার্যালয়ে চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধান বন সংরক্ষক মোহাম্মদ সফিউল আলম চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন কক্সবাজার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (উত্তর) তৌহিদুল ইসলাম, খুনিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল মাবুদ, সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) মোহাম্মদ সোহেল রানা, আব্দুল্লাহ আল মামুন, কাজী তারিকুর রহমান।
উপকারভোগী আবদুল কাদের বলেন, যেদিন উপকারভোগী নির্বাচিত হয়েছিলাম সেদিন কল্পনাও করিনি হেলে-দুলে বন পাহারা দিয়ে লাখ টাকা লভ্যাংশ পাব। এ টাকা প্রাপ্তি আমার পরিবারকে উদ্বুদ্ধ করেছে। আমারা টাকা পেয়েছি দেখে পাড়ার অন্যরাও এখন বনরক্ষায় কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করছে। এটি বড় পাওনা।
চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে রাজারকুল রেঞ্জের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী বৃন্দ এবং ২০০৫-০৬ এবং ২০০৭-০৮ সনের উপকারভোগীগণ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাধারা/এফএস/টিএম/এএ













