কক্সবাজার প্রতিনিধি »
পুরোনো ঐতিহ্য ফেরাতে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম পর্যন্ত মহাসড়কে বিরতিহীন বাস চালু করেছে সৌদিয়া পরিবহণ। যাত্রী সেবার মান বাড়িয়ে কর্মঘণ্টা বাঁচাতে নতুন শতাধিক বাস নিয়ে ক্লোজ ডোর সার্ভিস উদ্বোধন হয়েছে শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে।
আছরের নামাজের পর কক্সবাজার কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনাল হতে চট্টগ্রামের উদ্দেশে যাত্রী নিয়ে এ সার্ভিসের যাত্রার ফিতা কেটে উদ্বোধন করেন কক্সবাজার পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান।
এসময় সৌদিয়া পরিবহণের কক্সবাজারস্থ ইনচার্জ নিরুপম পাল নিরুসহ নানা পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং পরিবহণ ও শ্রমিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সৌদিয়া পরিবহণের কক্সবাজারস্থ ইনচার্জ নিরুপম পাল নিরু বলেন, কক্সবাজার-চট্টগ্রাম-ঢাকাসহ সারা দেশের সড়কগুলোর আরামদায়ক যাত্রায় সৌদিয়া পরিবহণ একটি ঐতিহ্যময় নাম। দীর্ঘ কয়েক যুগ ধরে সৌদিয়া বাসের নিরবিচ্ছিন্ন সেবা পেয়ে আসছেন জেলা থেকে জেলা বা দূরপাল্লার যাত্রীরা। সময় পাল্টেছে- মানুষ এখন বিরতিহীন বাসের দিকে ছুটছেন। কক্সবাজার-চট্টগ্রাম সড়কে সৌদিয়া বাসের বিরতিহীন পরিবহন না থাকায় অনেক যাত্রী বিকল্প বাসে যাচ্ছিল। সেসব বিষয় চিন্তা করেই পুরোনো ঐতিহ্য ধরে রাখতে শতাধিক নতুন বাস নিয়ে সৌদিয়া পরিবহণ কক্সবাজার টু চট্টগ্রাম বিরতিহীন বাস সার্ভিস চালু করলো।
তিনি আরও বলেন, ১৫ মিনিট পর পর এ বিরতিহীন বাস কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম এবং চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারের পথে রওয়ানা দিবে। চট্টগ্রাম যাবার পথে কক্সবাজার সদরের বাস টার্মিনাল, লিংকরোড, রামু ও ঈদগাঁও ছাড়া ১৬০ কিলোমিটার সড়কের কোথাও কোন কাউন্টারে থামবে না এ বাস। তবে, আজান সাপেক্ষে শুধু নামাজের বিরতি দেয়া হবে। চট্টগ্রামে নতুন ব্রীজের পর কক্সবাজার পৌঁছাতে দীর্ঘ সড়কে কোথাও না থেমে বিরতিহীন চলবে বাস। ৩৬ সিটের বাস হলেও নির্ধারিত ১৫ মিনিটে যত জন যাত্রী মিলবে তা নিয়েই বাস নির্ধারিত গন্তব্যে ছুটবে। কোথাও ব্যত্যয় হচ্ছে কি না, তা তদারকি করতে পথে চেকার রাখা হয়েছে।
উদ্বোধনী দিনের যাত্রী ব্যবসায়ী আবুল কাশেম বলেন, বিগত ৩০ বছর ধরেই সৌদিয়া বাসেই যাতায়ত। বাড়ির বয়োবৃদ্ধরা সৌদিয়া-এস আলম ছাড়া অন্য বাসে উঠতে চাই না। আবার আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম চাই বিরতিহীন সার্ভিস। বছর দুয়েক আগে চালু হওয়া কয়েকটি বিরতিহীন সার্ভিসেই সন্তানদের সাথে নিরুপায় হয়ে উঠতে হতো। তাদের অনিয়ন্ত্রিত ভয়ংকর গতি গন্তব্যে না পৌঁছানো পর্যন্ত আতংকে রাখে। সৌদিয়া বাসের অভিজ্ঞ চালকরা নিয়ম বুঝেই চালান। সেসব চালকদের দিয়েই বিরতিহীন সৌদিয়া বাস চালু হওয়ায় চিন্তামুক্ত ভ্রমণ নিশ্চিত হবে বলে বিশ্বাস নিরাপত্তা প্রত্যাশীদের।
উল্লেখ্য, পর্যটন নগরী কক্সবাজারের সাথে সারাদেশের যোগাযোগে গ্রীণ লাইন, সোহাগ, দেশ ও স্বাধীন ট্রাভেলস, হানিফ, শ্যামলী, মারছা, পুরবী, পূর্বানী, এস আলম ও সৌদিয়াসহ নানা বাস সার্ভিস রয়েছে। তবে অভিজাত কয়েকটি বাস ছাড়া বাকিগুলো যাত্রী ভোগান্তিতে সিদ্ধ হস্ত।অনেক বাস ননস্টপ বলে যাত্রী তুললেও সড়কের প্রতি স্টেশনে দাঁড়িয়ে যাত্রী নেয়। আবার কিছু বাস নির্ধারিত হোটেলে ৫-১০ মনিটের কথা বলে মিনিমাম ৩০ মিনিট বিরতি দেয়। ফলে অনেক যাত্রী ক্লাস, পরীক্ষাসহ গুরুত্বপূর্ণ অনেক কিছু মিস করে। তাই কক্সবাজার-চট্টগ্রাম সড়কে বিরতিহীন বাসের কদর বাড়ছে।












