২৫ অক্টোবর ২০২৫

কক্সবাজার পৌরসভার উন্নয়নে আরও ৫শ’ কোটি টাকা বরাদ্দ

কক্সবাজার প্রতিনিধি »

অত্যাধুনিক কমার্শিয়াল পৌর ভবন নির্মাণসহ কক্সবাজার পৌরসভার উন্নয়নে আরও ৫শ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। আরবান ডেভেলপমেন্ট সিটি গভর্নমেন্ট প্রজেক্ট’র (ইউডিসিজিপি) আওতায় গুরুত্বপূর্ণ এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নে অর্থায়ন করছে জাপান আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (জাইকা)।

বহুল প্রত্যাশিত প্রকল্পটি ইতোমধ্যে একনেকে অনুমোদন হয়ে গেছে বলে নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান।

প্রকল্পটি কনেকে অনুমোদন হওয়ায় বুধবার বিকেলে কক্সবাজার পৌর সভার সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে তাৎক্ষনিক শুকরিয়া সভা করেছে কক্সবাজার পৌরসভার কর্তৃপক্ষ।

সভাপতির বক্তব্যে মেয়র মুজিবুর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধু এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের শহর কক্সবাজার। তাই এ পৌরসভার প্রতি সরকার প্রধানের আন্তরিকতা এবং সু-নজর থাকে সবসময়। যার ধারাবাহিকতায় দেড়শো বছরের জরাজীর্ণ সড়ক, উপসড়ক, কালভার্ট, ড্রেন, ফুটপাত আধুনিকভাবে নির্মাণ করা হচ্ছে।

মেয়র বলেন, অন্ধকার এ শহরকে আলোকিত করতে স্ট্রিট লাইট স্থাপনসহ প্রায় তিন’শ কোটি টাকার কাজ এখন প্রায় শেষ পর্যায়ে। এর মধ্যেই পৌর এলাকার উন্নয়নে আরও ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়ায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। পাশাপাশি স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম এমপি ও স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদসহ সংশ্লিষ্টদেরও ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানান মেয়র মুজিব।

মেয়র আরও বলেন, কক্সবাজারকে জাতির জনকের কন্যা এতোটাই ভালবাসেন যে, চাওয়া মাত্রই শত শত কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ দিয়ে দিচ্ছেন তিনি। যা অবিশ্বাস্য মনে হলেও সত্য। এ জন্য মমতাময়ী প্রধানমন্ত্রীর প্রতি পৌরবাসীর কৃতজ্ঞতার শেষ নেই।

কক্সবাজার পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট একেএম তারিকুল আলমের সঞ্চালনায় শোকরিয়া সভায় পৌরসভার প্যানেল মেয়র-২ হেলাল উদ্দিন কবির, কাউন্সিলর ওমর সিদ্দিক লালু, কাউন্সিলর এম.এ মনজুর, কাউন্সিলর মিজানুর রহমান, নির্বাহী প্রকৌশলী নুরুল আলম, সহকারী প্রকৌশলী রুমেল বড়ুয়া ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা খোরশেদ আলমসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ নুরুল আলম জানান, জাইকার অর্থায়নে যে ৫০০ কোটি টাকা অনুমোদন হয়েছে এ টাকা নিয়ে অত্যাধুনিক কমার্শিয়াল একটি পৌর ভবন, বিদেশী আদলে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল নির্মাণ, কস্তুরাঘাট এলজিইডি ব্রীজ থেকে এয়ারপোর্ট রোড পর্যন্ত রাস্তা ও সেতু নির্মাণ করা হবে।

এ ছাড়াও এ অর্থ থেকে হোটেল সায়মান সুগন্ধা পয়েন্ট পর্যন্ত স্ট্রিট লাইট, রাস্তা ও ড্রেন নির্মাণ, বিমানবন্দর কালভার্ট থেকে নাজিরারটেক পর্যন্ত ফুটপাতসহ আরসিসিসি ড্রেন এবং ঢাল পুনর্বাসন (আরসিসি ড্রেনেজ), ৬ ও ৮ নং ওয়ার্ড ভূগর্ভস্থ জল সরবারাহ ব্যবস্থা স্থাপন, বিমানবন্দর কালভার্ট থেকে নাজিরারটেক পর্যন্ত ফুটপাতসহ আরসিসিসি ড্রেনের পাশাপাশি ঢাল পুনর্বাসন (ব্লেক লাইনিং)। ৯, ১০, ১১নং ওয়ার্ড ভূগর্ভস্থ জল সরবারাহ ব্যবস্থা স্থাপন, কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পরিস্থিতি উন্নতির লক্ষে যানবাহন এবং ভারী সরঞ্জাম সংগ্রহ, এসঅএমপাড়ায় স্যানিটারি ল্যান্ডফিল সাইটের উন্নয়ন, বিদ্যমান রাস্তার আলোকে এলইডিতে আপডেট এবং সমুদ্র সৈকতে সোলার প্যানেলসহ এলইডি ইনস্টল করা হবে বলে জানান নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ নুরুল আলম।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চলামান ৩০০ কোটি এবং জাইকার সদ্য অনুমোদিত ৫০০ কোটি টাকার সবগুলো প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে এই কক্সবাজার হবে বিশ্বের দ্বিতীয় সিঙ্গাপুর।

আরও পড়ুন