২৬ ডিসেম্বর ২০২৫

কক্সবাজার-মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করছে ‘মোখা’

কক্সবাজার-মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করছে ‘মোখা’

বাংলাধারা ডেস্ক : ঘণ্টায় ২১৫ কিলোমিটার গতির ঝড়ো হাওয়ার শক্তি নিয়ে বাংলাদেশের কক্সবাজার ও উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করছে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা। সকাল সাড়ে আটটার দিকে উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করে ঝড়ের অগ্রভাগ। প্রবল বেগে ধেয়ে আসা এ ঘূর্ণিঝড়টি মূল আঘাত মায়ানমারে হানলেও কক্সবাজারে এর পূর্ণ প্রভাব বজায় থাকবে। তাণ্ডব চালাতে পারে টেকনাফ ও সেন্টমার্টিনে। জোয়ারের সাথে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে ৮ থেকে ১২ ফুট উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাস হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

অগ্রভাগের প্রভাব উপকূলীয় এলাকায় ইতিমধ্যে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

রোববার (১৪ মে) সকালে আবহাওয়া অধিদফতরের ১৮ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সকাল ৬টায় ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পূর্বে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পূর্বে অবস্থান করছিল।

এটি আরও উত্তর-উত্তর পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে আজ বিকেল/সন্ধ্যা নাগাদ সিটুয়ের (মিয়ানমার) নিকট দিয়ে কক্সবাজার-উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করতে পারে।

চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের উপকূলীয় এলাকায় অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাব শুরু হয়েছে। মোখা কক্সবাজার-উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম শুরু করেছে।

আবহাওয়া অধিদফতর আরও জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় মোখার কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ১৯৫ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া আকারে ২১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত, চট্টগ্রাম ও পায়রা বন্দরকে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। মোংলা সমুদ্রবন্দরকে চার নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

সহকারী আবহাওয়াবিদ আফরোজা সুলতানা জানান, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রবর্তী অংশ সাগর থেকে স্থলভাগে উঠে আসতে শুরু করে।

ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোকাবিলায় চট্টগ্রামের উপকূলীয় উপজেলা বাঁশখালী, সন্দ্বীপ, আনোয়ারা, কর্ণফুলী, সীতাকুণ্ড, মীরসরাইয়ে সর্বাত্মক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। ৬ উপজেলায় আশ্রয়কেন্দ্রে ইতিমধ্যে আশ্রয় নিয়েছে ৮২ হাজার মানুষ। চট্টগ্রামের দ্বীপ উপজেলায় সন্দ্বীপে ১৬২টি আশ্রয়কেন্দ্রে ২৯ হাজার ৮৮৫ জন অবস্থান করছে।

ঘূর্ণিঝড় মোখা’র আঘাত থেকে রক্ষা পেতে কর্ণফুলী নদীতে অবস্থান করছে চারশ লাইটার জাহাজ, অয়েল ট্যাংকার, ফিশিং ট্রলার, ড্রেজার ও বার্জ। এছাড়াও মাদার ভেসেল গুলোকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে গভীর সমুদ্রে।

আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও

সর্বশেষ