কক্সবাজার প্রতিনিধি »
কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এসময় আতংকে রোগী ও রোগীর স্বজনদের দিগবিদিক দৌড়াদৌড়িতে বেশ কিছু নারী-পুরুষ আহত হয়েছেন। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বেশ কয়েক ঘন্টা চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হয়েছে। ভীতিকর পরিস্থিতিতে চিকিৎসার অভাবে একজন রোগি মারা গেছেন বলে গুজব উঠেছে। তবে কেউ তার পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেননি।
বুধবার (২৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যা পৌঁনে ৬টার দিকে হাসপাতালের নীচতলার একটি কক্ষ থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি বলে দাবি করেছেন হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. শাহীন আবদুর রহমান।
ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে দুই ঘন্টার মাথায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন। ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণ চলে এসেছে বলে জানালেও রাত ৮টা পর্যন্ত হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির পরিসংখ্যান জানাতে পারেনি তারা।
রোগীর স্বজনরা জানান, অগ্নিকাণ্ডের খবর ছড়িয়ে পড়লে মুহুর্তের মধ্যে পুরো হাসপাতালজুড়ে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। ভর্তি রোগীরা জীবন বাঁচানোর তাগিতে দ্রুত হাসপাতাল ত্যাগ করে পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন হাসপাতালে চলে গেছে। হাসপাতালে সড়কের বিভিন্ন পথেও অবস্থান নেন অনেক রোগী। থেকে যাওয়া রোগিদের হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে চিকিৎসা দিতে দেখা গেছে।
কর্তব্যরত চিকিৎসক, নার্সরা রোগিদের সেবা নিশ্চিত করছেন। পাশাপাশি রেডক্রিসেন্ট কর্মীদের তৎপরতা চোখে পড়েছে।
কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক মো. আবদুল্লাহ জানান, খবর পাওয়ার সাথে সাথে দমকলকর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। ঘন্টা দেড়েকেট মাঝে আগুন সম্পূর্ণ নেভানো সম্ভব হয়েছে।হাসপাতালের নীচ তলার একটি কক্ষ থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিক ধারণা করা হচ্ছে।
তবে, হতাহত কিংবা ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে জানাতে পারেননি তিনি।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. সালেহীনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে লাইন কেটে দেন। কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডা. মাহবুবুর রহমান জানান, একটি পরিত্যক্ত কক্ষ থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। ঘটনার পরপরই রোগিদের নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। জরুরি বিভাগের বহিরাঙ্গণে চিকিৎসাসেবা চলছে। তবে, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো (রাত ৮টা ১৫) নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি।
বাংলাধারা/এফএস/এইচএফ













