বাংলাধারা প্রতিবেদক»
নিজেকে পুলিশ, র্যাব, বিজিবির বিভিন্ন পদবির অফিসার পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়া প্রতারক মো. বেলাল হোসেন-কে (৩১) গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭।
বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) ফটিকছড়ি থানার নাজিরহাট বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার মো. বেলাল হোসেন ফটিকছড়ির বক্তপুর এলাকার মৃত আব্দুল মালেকের ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. নুরুল আবছার বলেন, আসামি গত ১৬ আগস্ট মোহাম্মদ খোরশেদুল আলম নামে এক ব্যক্তিকে ফোনে মামলার ভয় দেখিয়ে নিজেকে এসআই, ওসি, এএসপি, পরিচয় দিয়ে মোট ৫৩,০৪০ টাকা হাতিয়ে নেয়। এরপর র্যাব পরিচয় দিয়ে আবার টাকা চাইলে ভিকটিম ব্যাপারটা আমাদের জানায়। পরবর্তীতে এরই ধারাবাহিকতায় গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব জানায়, প্রতারণার শিকার অন্যান্য ভিকটিম থেকে জানা যায়—প্রতারক বেলাল ২০২১ থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর ও র্যাব বাহিনীর সদস্য হিসাবে মিথ্যা পরিচয় দিয়ে প্রাইভেটকার ভাড়া করে ঘুরে বেড়াত এবং বিভিন্ন কাজ করে দেওয়ার অজুহাতে লোকজনের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিত।
আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে র্যাব জানায়— বেলাল নিজেকে থানার ওসি, সেকেন্ড অফিসার, মামলার তদন্তকারী অফিসার, পুলিশ, র্যাব, পিবিআই, সিআইডির অফিসারের পরিচয় দিয়ে মোবাইলে এমনভাবে কথা বলত যে মামলার ভিকটিম বা বাদীদের পরিবার বুঝতেই পারত না। সে নিজে কোনদিন কারো সাথে দেখা করত না। টাকা নিত বিকাশে এবং বিকাশের দোকানেও যেত না। বিকাশের দোকানকে অন্য নম্বরে সেন্ড করাতে বলত। এভাবে লোকচক্ষুর অন্তরালে দীর্ঘদিন ধরে সে লোকজনকে প্রতারিত করে আসছে। সে নিয়মিত প্রাইভেটকার ভাড়া করে ঘুরে ঘুরে মোবাইলে কথা বলত এবং ফোনের অপর পাশে থাকা ভিকটিমরা তাকে ঊর্ধ্বতন অফিসার মনে করত বলে জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।
নুরুল আবছার বলেন, ‘প্রতারক আসামি, স্থানীয় তথাকথিত অনিবন্ধিত বিভিন্ন অনলাইন চ্যানেল থেকে বিভিন্ন ক্রাইম ও মামলার খবর, জমিজমার বিবাদের খবর মোবাইল নম্বর ও বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করত এবং ভিকটিমের দূর্বলতার সুযোগ নিয়ে টাকা আদায় করত। তার দেওয়া ভাষ্যমতে, গত দেড় বছরে প্রতারণাই ছিল তার একমাত্র আয়ের উৎস এবং পেশা। সে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের কাছ থেকে এরকম প্রতারণা করে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।’
গ্রেফতার আসামির বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান তিনি।
বাংলাধারা/এসআরটি













