বাংলাধারা প্রতিবেদক»
চট্টগ্রাম বন্দরে আবারো কমে গেছে কন্টেইনার ডেলিভারী।বন্দর ইয়ার্ড থেকে কন্টেইনার জট কমাতে বাড়তি স্টোররেন্ট কার্যকরের হুমকি দিলেও কন্টেইনার ডেলিভারিতে দেখা যায় নি কোনো উন্নতি।
মার্চ মাসের শেষ ১৪ দিনের পরিসংখ্যানে দেখা যায় প্রায় ৫৫ শতাংশ পণ্য ডেলিভারীতে চট্টগ্রাম বন্দরে।গত ১ মার্চ পণ্য ডেলিভারি হয়েছিলো ৪২৯৩ কন্টেইনার।গত ১৪ মার্চ কমে দাঁড়িয়েছে সেটি ১৯৩৮ একক কন্টেইনারে।
পবিত্র মাহে রমজানকে সামনে রেখে চট্টগ্রাম বন্দরের কন্টেইনার ডেলিভারি সচল রাখার স্বার্থে গত ৪ মার্চ মার্চ নির্দেশনা জারি করে সতর্ক পদক্ষেপ নিয়েছিলো চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। জারি করা এক সার্কুলারে বন্দর ব্যবহারকারী, আমদানিকারক, শিপিং লাইন, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে আমদানিকৃত পণ্য বোঝাই কন্টেইনার খালাস করে নেয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। অন্যথায় আগামী ১৫ মার্চ থেকে ২১ দিন পার হওয়া এফসিএল কন্টেইনারের ভাড়া (স্টোররেন্ট) চারগুণ হারে আদায় করা বলা হয়েছিলো।
এদিকে এমন নির্দশনা জারির পর উল্টো কন্টেইনার ডেলিভারী কমতে শুরু করে।যা কমতে কমতে মার্চ মাসের শেষ ১৪ দিনে এসেছে ৫৫ শতাংশে।
কিন্তু ১৫ মার্চ থেকে বাড়তি স্টোররেন্ট আরোপের সিদ্ধান্ত থেকে আমরা আপাতত সরে আসে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।
এই বিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দর সচিব ওমর ফারুক বলছেন,স্টোররেন্ট কার্যকরের সিদ্ধান্ত গৃহীত হওয়ার পরও কন্টেইনার ডেলিভারী যথাযথভাবে হয়নি।এরপর পরিস্থিতি বিবেচনা করে ১৫ মার্চ থেকে বাড়তি স্টোররেন্ট আরোপের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসা হয়।তিনি আরো বলেন,যদি পরিস্থিতি অবনতি হয় আবরো সেই নির্দেশনায় ফিরে যেতে বাধ্য হবে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।













