২৪ অক্টোবর ২০২৫

কবি আসাদ চৌধুরী আর নেই

বাংলা সাহিত্যের জনপ্রিয় কবি আসাদ চৌধুরী ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টার দিকে কানাডায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

কবি আসাদ চৌধুরীর মৃত্যুর বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন তার ছেলে জারিফ চৌধুরী। গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, আমার পরম শ্রদ্ধেয় পিতা কবি আসাদ চৌধুরী টরেন্টোর আসোয়া লেকরিচ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন। স্থানীয় সময় বুধবার দিবাগত রাত তিনটায় তিনি মারা যান।

কবির জামাতা নাদিম ইকবালও এক ফেসবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন, ‘মৃত্যু হায়েনাদের মতো তাঁর পিছু লেগেছিল অনেকদিন ধরেই। কিন্তু তিনি ছিলেন সিংহরাজ। সহজে হার মানেননি, তাঁর নামের অর্থও তাই। সবার টান টান উত্তেজনা আর শুভ প্রত্যাশার অগুনিত তারগুলো ছিঁড়ে গেছে। ’

কবি আসাদ চৌধুরী বাংলাদেশের প্রধান কবিদের অন্যতম। মৃত্যুকালে তার বয়স ছিল ৮০ বছর। কবি আসাদ চৌধুরীর দুই ছেলে ও এক মেয়ে। তারা সবাই এখন টরেন্টোয় আছেন। তার আকর্ষণীয় বাচনভঙ্গী আর টেলিভিশনে জনপ্রিয় সব অনুষ্ঠান পরিকল্পনা ও উপস্থাপনার জন্যও তিনি পরিচিত। তার ভরাট কণ্ঠে কবিতা আবৃত্তি জায়গা করে নিয়েছিলো মানুষের হৃদয়ে। মৌলিক কবিতা ছাড়াও শিশুতোষ গ্রন্থ, ছড়া, জীবনী এবং অণুবাদকর্মে তার অবদান প্রণিধানযোগ্য।

আসাদ চৌধুরী ১৯৪৩ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বাকেরগঞ্জ জেলার মেহেন্দিগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মোহাম্মদ আরিফ চৌধুরী ওরফে ধনু মিয়া ও মাতার নাম সৈয়দা মাহমুদা বেগম। ‘তবক দেওয়া পান’ কবিতাগ্রন্থের মাধ্যমে কবি হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠেন আসাদ চৌধুরী। ১৯৮৩ সালে তার রচিত ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ’ নামের উল্লেখযোগ্য গ্রন্থটি প্রকাশিত হয়। এছাড়া একই বছর তিনি সম্পাদনা করেন বঙ্গবন্ধুর জীবনী ভিত্তিক গ্রন্থ ‘সংগ্রামী নায়ক বঙ্গবন্ধু। ১৯৮৭ সালে পান বাংলা একাডেমি পুরস্কার। আর ২০১৩ সালে তাকে একুশে পদকে ভূষিত করা হয়।

আরও পড়ুন