৩০ অক্টোবর ২০২৫

কবি তানভীর হাসান বিপ্লবের নতুন বই ‘প্রিয় হাইকু’

তানভীর হাসান বিপ্লব »

অনেক বছর আগের থেকেই বাংলা সাহিত্যের পাঠক-পাঠিকারা হাইকু শব্দটির সঙ্গে পরিচিত। রবীন্দ্রনাথ হাইকুর সঙ্গে বাংলা ভাষার পাঠকদের পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন ‘জাপানযাত্রী’ গ্রন্থের মাধ্যমে।

‘জাপানযাত্রী’ গ্রন্থে হাইকুর সঙ্গে পরিচয় করাতে গিয়ে তিনি মন্তব্য করেছেন, তিন লাই‌নের ক‌বিতা‌কে হাইকু ব‌লে। পৃ‌থিবীতে সব‌চে‌য়ে ক্ষুদ্রতম ক‌বিতা এই হাইকু। তিন লাইনের কাব্য, এই জগতে  আর কোথাও নাই। হাইকু হল জাপানি বড় কবিতার ক্ষুদ্রতম রূপ।

হাইকু তিনটি সংক্ষিপ্ত লাইনে ১৭টি সিলেবল নিয়ে এর গঠন। প্রথম লাইনে পাঁচটি, দ্বিতীয় লাইনে সাতটি আর শেষের লাইনে পাঁচটি সিলেবল দিয়ে তৈরি হয় হাইকু অনুকাব্য।

হাইকু-মানসিকতার অধিকারী হতে হলে, একজন লেখককে অভিজ্ঞতার জন্যই একটি অভিজ্ঞতা অর্জনের উদ্দেশ্যে প্রস্তুত থাকতে হয়। এর বাইরে অন্য কোনো উদ্দেশ্য থাকলে হাইকু মানসিকতা অকৃত্রিম থাকে না। এই লক্ষ্যে পৌঁছতে গেলে দ্রষ্টার সম্পূর্ণ অভিন্নতা অর্জন এবং একাত্ততা থাকার প্রয়োজন।

মানুষের জীবনে দুঃখ, বেদনা এবং নিঃসঙ্গতা অনিবার্য বলে এসব ব্যক্তিগত অনুভূতিকে প্রকৃতির নৈর্ব্যক্তিক অভিব্যক্তির মাধ্যমে রূপান্তরিত করে অতিক্রমণ সম্ভব। সাধারণ অনুভূতি মহৎ বা নিগূঢ় চিন্তা হিসেবেও আত্মপ্রকাশ করতে পারে এ-প্রক্রিয়ায়।

হাইকুর সৌন্দর্য এবং আকর্ষণ, ব্যক্তিক থেকে নৈর্ব্যক্তিকে  রূপান্তরের এই ক্ষমতার জন্যই, লেখার শুরু থেকে আত্মার শান্তির আর মনের প্রশান্তি অর্জনের এক নির্মল মাধ্যম হাইকু পড়া আর লেখা।

দীর্ঘদিনের নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্যে দিয়ে কর্মব্যস্ততার মুখোমুখি হয়ে বিভিন্ন হাইকু কবিদের বই পড়ে ও বাস্তবতা থেকে আমার হৃদয়ের ভাব আবেগ মিশিয়ে আমি আমার মনের ভাবগুলো হাইকু রূপে ‘প্রিয় হাইকু’ বইটিতে প্রকাশ করেছি। আমার আগের লেখা বইগুলো পাঠক-পাঠিকার কাছে পৌঁছে দিতে পেরে আমি আন্তরিক ভাবে আনন্দিত। পাঠক-পাঠিকার কাছে আমার প্রচেষ্টা সার্থক হবে তখনই যখন আমার এই বইটি পড়ে অনুপ্রাণিত হবে এবং মজা খুঁজে পাবে আমার পাঠক-পাঠিকা ।

কাব‌্যগ্রন্থটি প্রকাশিত হয়েছে অক্ষরবৃত্ত প্রকাশন থেকে। পাওয়া যাবে অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২০ এর ঢাকা ও চট্টগ্রামে অক্ষরবৃত্ত স্টলে। এছাড়া পাওয়া যাচ্ছে অভিজাত বই বিক্রয় কেন্দ্র ভাতিঘল ও অমর বইঘরে।

বাংলাধারা/এফএস/টিএম/এএ

আরও পড়ুন