বাংলাধারা প্রতিবেদন »
করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে বর্তমানে তৈরি পোশাক খাত গভীর সংকটময় মুহূর্ত অতিক্রম করছে। জাতীয় অর্থনীতিতে এর ব্যাপক নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দৃশ্যমান। তাই দেশের পোশাক শিল্পের সংকটময় পরিস্থিতি উত্তরণে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে যত দিন সরকারি ছুটি বা লকডাউন থাকবে ততদিন চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার স্টোর রেন্ট মওকুফ করতে চিঠি দিয়েছেন বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হক।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের কাছে বৃহস্পতিবার (১৪ মে) লেখা চিঠিতে তিনি ১৬ মে পর্যন্ত পোশাক শিল্পের আমদানি চালান খালাসে বন্দরের স্টোর রেন্ট ১০০ ভাগ মওকুফ করায় আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানান।
চিঠিতে রুবানা হক বলেন, বর্তমান করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার কর্তৃক সাধারণ ছুটি ৩০ মে পর্যন্ত বাড়িয়েছে। ইতিমধ্যে কিছু কিছু পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন পূর্বক আংশিকভাবে কারখানার অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু করেছে। অনেক প্রতিষ্ঠান এখনো বন্ধ রয়েছে এবং বিদেশি সরবরাহ প্রতিষ্ঠান কর্তৃক আমদানি দলিলাদি অনেক প্রতিষ্ঠান পায়নি। ফলে পণ্য চালান খালাস করা অনেক ক্ষেত্রে সম্ভব হবে না বলে বিজিএমইএ মনে করে।
পোশাক শিল্পের বর্তমান সংকটময় পরিস্থিতিতে যতদিন দেশে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটি বা লকডাউন থাকবে ততদিন পণ্য চালান খালাসে বন্দরের ডেমারেজ চার্জ মওকুফের সময় বৃদ্ধি করা আবশ্যক।
জাতীয় অর্থনীতির এ সংকটকালে বন্দর চেয়ারম্যানের সহযোগিতা চেয়ে স্টোর রেন্ট মওকুফের সময় বাড়ানোর লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করেন বিজিএমইএ সভাপতি।
বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, বিজিএমইএ সাধারণ ছুটিকালে পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠানের আমদানি পণ্য চালানের স্টোর রেন্ট মওকুফের জন্য চিঠি দিয়েছে। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী বন্দর কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
বাংলাধারা/এফএস/টিএম













