কক্সবাজার প্রতিনিধি »
পর্যটন নগরী কক্সবাজারে করোনার প্রাদূর্ভাব ক্রমে বাড়ছে। তার সাথে পাল্লাদিয়ে বাড়ছে মার্কেটমুখী মানুষের স্রোত। এতে সংক্রমণ আরো বাড়ার আশংকায় করোনার লাগাম টানতে কক্সবাজার জেলার সকল ধরণের দোকানপাট ও শপিংমল বন্ধ রাখতে আবারো সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন। একই সঙ্গে বিকেল চারটার পর সকল ধরণের পরিবহণ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তও হয়েছে।
সোমবার ( ১৮ মে) বিকেল চারটা থেকে এ আদেশ কার্যকর হবে বলে জানিয়ে রোববার বিকেলে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন স্বাক্ষরিত এক গণ বিজ্ঞপ্তি প্রচার করা হয়েছে।
গণ-বিজ্ঞিপ্তিতে বলা হয়, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় কক্সবাজার এর গত ৫ মে ০৫.২০.২২০০.১০৯.০০.০০১.২০২০-৩৫০ নং স্মারকে করোনার বিস্তার প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে সীমিত আকারে জেলার অভ্যন্তরীণ দোকান-পাট ও শপিংমল শর্ত সাপেক্ষে চালুর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। কিন্তু গত ৫ দিন মার্কেট ও শপিংমল সমূহ সরেজমিন পরিদর্শনে প্রতীয়মান হয় যে, মার্কেট ও শপিংমল সমূহে মানুষের উপচে পড়া ভীড়, স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে অসচেতনতা এবং আগত ক্রেতা-বিক্রাতাগণ কর্তৃক সরকার প্রদত্ত শর্ত মেনে চলার বিষয়ে সম্পূর্ণ অবহেলা প্রদর্শনের কারণে বর্ণিত শর্ত সমূহ যথাযথ ভাবে প্রতিপালিত হচ্ছেনা। ফলে এ জেলায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের হার মারাত্মক আকার ধারণ করছে। এমতাবস্থায় জনসাধারণ তথা কক্সবাজারবাসীর সার্বিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা, করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ এবং মৃত্যুঝুঁকির বিষয় বিবেচনা করে জনপ্রতিনিধি, আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর প্রতিনিধি, চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ প্রতিনিধি, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, স্বাস্থ্য বিভাগসহ বিভিন্ন বিভাগের প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনা পূর্বক পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত জেলা সদরসহ সকল উপজেলা পর্যায়ে দোকান-পাট, শপিংমল সমূহ বন্ধরাখার নির্দেশনা প্রদান করা হলো। এ আদেশ আগামী ১৮ মে বিকাল ৪টা হতে কার্যকর হবে।
তবে, পণ্যবাহী পরিবহণ এ নির্দেশনার আওতামুক্ত থাকবে। এছাড়াও কাচাবাজার, অন্যান্য সরকার ঘোষিত কার্যক্রম চলমান থাকবে। এসব নির্দেশনা মেনে না চললে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুশিয়ারি দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত শনিবার একদিনেই ২৪জনের করোনা ‘পজেটিভ’ এসেছে। এদের মাঝে কক্সবাজার সদর উপজেলায় ৬ জন, চকরিয়ায় ৮ জন, পেকুয়ায় ১ জন, উখিয়ায় ৭ জন এবং রোহিঙ্গা শরনার্থী ১জন ও বান্দারবানের লামা উপজেলায় ১জন রয়েছে। এনিয়ে কক্সবাজার জেলায় শনিবার (১৬ মে) পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭৫ জনে। ল্যাবের তথ্য মতে, এ পর্যন্ত চকরিয়া উপজেলায় ৬০ জন, কক্সবাজার সদর উপজেলায় ৪১ জন, পেকুয়া উপজেলায় ২২ জন, মহেশখালী উপজেলায় ১২ জন, উখিয়া উপজেলায় ২২ জন, টেকনাফ উপজেলায় ৭ জন, রামু উপজেলায় ৪ জন, কুতুবদিয়া উপজেলায় ২ জন এবং রোহিঙ্গা শরনার্থী ৪ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। রোববারের ফলাফল বিকেল ৫টা পর্যন্ত আসেনি।
বাংলাধারা/এফএস/টিএম













