২৯ অক্টোবর ২০২৫

করোনা আতঙ্কে যাত্রী কমায় ক্ষতির শঙ্কায় বিমান

বাংলাধারা ডেস্ক »

বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। বর্তমানে পৃথিবীর ১১৫টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস। এ ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪ হাজার ২৭ জনে দাঁড়িয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক লাখ ১৪ হাজার ৪৪২ জন। এই ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কের মধ্যে যাত্রী কমতে থাকায় বড় ধরনের ক্ষতির শঙ্কায় পড়েছে বাংলাদেশের বিমান পরিবহন সংস্থাগুলো।

ইতোমধ্যে যেসব দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হয়েছে, সেসব দেশের সঙ্গে বিমান চলাচল অনেক দেশই সীমিত করছে। যাত্রীর অভাবে আন্তর্জাতিক রুটের পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ রুটেও ফ্লাইট কমাতে বাধ্য হচ্ছে অনেক এয়ালাইন্স।

ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের অনুমান, এই অবস্থা চলতে থাকলে বিশ্বের বিমান সংস্থাগুলোর ক্ষতির পরিমাণ ১১ হাজার কোটি ডলারে পৌঁছাতে পারে।

যাত্রী সঙ্কটের মুখে সোমবার আন্তর্জাতিক ১০টি রুটের ফ্লাইট চলাচল সীমিত করেছে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।

এসব রুটের মধ্যে রয়েছে কুয়ালালামপুর, কাঠমান্ডু, কলকাতা, দিল্লি, ব্যাংকক, সিঙ্গাপুর, দোহা, জেদ্দা, মদিনা ও কুয়েত। এসব রুটে বিমানের সাপ্তাহিক ফ্লাইট অর্ধেকে নামিয়ে আনা হয়েছে।

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতার ও কুয়েত ইতোমধ্যে জানিয়েছে, বাংলাদেশি যাত্রীদের তারা আপাতত সেসব দেশে প্রবেশের অনুমতি দেবে না।

এ বিষয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোকাব্বির হোসেন বলেন, ১০টি আন্তর্জাতিক রুটে বিমান সাপ্তাহিক (আসা-যাওয়াসহ) ১৪২টি ফ্লাইটের মধ্যে ৬৮টি ফ্লাইট চালু রেখেছে। বাতিল হওয়া ফ্লাইটের যাত্রীরা চাইলে তাদের টিকিটের টাকা ফেরত পাবেন।

ইউএস-বাংলা এয়ালাইন্সের জনসংযোগ বিভাগের ব্যবস্থাপক কামরুল ইসলাম বলেন, ১৩ ফেব্রুয়ারির আগে তারা চীনের সঙ্গে সপ্তাহে সাতটি ফ্লাইট পরিরচালনা করতেন। এখন চলছে তিনটি ফ্লাইট। এখন কাতার সরকারের দেওয়া নিষেধাজ্ঞার কারণে ইউএস-বাংলার কাতারগামী সব ফ্লাইটও বাতিল করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আমাদের যাত্রীরা যে টিকিট বাতিল করছেন তার সংখ্যা খুব বেশি নয়। আমরা বরং ২৯ মার্চ থেকে সিলেটে অতিরিক্ত একটি ফ্লাইট পরিচালনা করতে যাচ্ছি।

বাংলাধারা/এফএস/টিএম

আরও পড়ুন