ইয়াসির রাফা »
নগরীর আলকরণ এলাকা হয়ে কর্মস্থলে ফিরছে মানুষ। এক দিকে চাকরি অন্য দিকে গণপরিবহনের অভাবে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে শ্রমজীবী ও গার্মেন্টস কর্মীদের। গত দুই সপ্তাহ যাবৎ চলমান এই পরিস্থিতির তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি।
কথা বলে জানা যায় বেশির ভাগই গার্মেন্টস কর্মী। গণপরিবহন না থাকার এ সুযোগে অসাধু কিছু পরিবহন অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে তাদের কাছ থেকে।
দুঃখ প্রকাশ করে নাসরিন নামের এক গার্মেন্টস কর্মী জানান, এ যেন মরার উপর খাঁড়ার ঘা! জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই করোনা পরিস্থিতির মধ্যে কাজে যোগদান করতে হচ্ছে। একেতো যানবাহন সংকট তার উপর ভাড়া বেশি। আমরা কী করব বলেন, পেট চালাতে হবেতো। এখন আর করোনার ভয় নেই। এখন চাকরি হারানোর ভয়।
রাবেয়া নামের গার্মেন্টস কর্মী বলেন, পরিবহন কম থাকায় এই ভিড়ের মধ্যে কোনো ধরনের করোনাভাইরাস সতর্কতাই মানা সম্ভব হচ্ছে না। একদিকে আক্রান্ত হওয়ার আতঙ্ক, অন্যদিকে চাকরি। তাই শঙ্কায় আছেন তিনি।
জাহিদ নামে একজন বলেন, অনিশ্চয়তার মধ্যে আছি। সব বন্ধ, এর মধ্যেই কর্মস্থলে পৌঁছাতে হবে। কাজে যোগ না দিলে চাকরি হারানোর ঝুঁকিতে পড়ব।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ট্রাফিক পুলিশ জানান, অনেক শ্রমিক, গার্মেন্টস কর্মী আসছে। তাদের কন্ট্রোল করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে আমাদের। পরিবহন বন্ধ। কয়েকটা ছোট ছোট পরিবহন সড়কে আছে। এর মধ্যও আমরা তাদের সহযোগিতা করার চেষ্টা করছি। মাইকিং করছি, হাত ধোয়ার, মাস্ক ব্যবহার করার পরামর্শ দিচ্ছি।
বাংলাধারা/এফএস/টিএম/এএ













