২৪ অক্টোবর ২০২৫

করোনা প্রণোদনা চায় রিহ্যাব

বাংলাধারা প্রতিবেদন »  

করোনাভাইরাসের প্রভাবে আবাসন শিল্পে বিনিয়োগকারীদের তাৎক্ষণিক যে সংকট সৃষ্টি হয়েছে তা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে বরাদ্দ দেওয়ার জন্য দাবি জানিয়েছে আবাসন খাতের বৃহৎ সংগঠন রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব)।

রবিবার বিকালে রিহ্যাব প্রেসিডেন্ট আলমগীর শামসুল আলামিন (কাজল) স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।

বিবৃতিতে রিহ্যাব প্রেসিডেন্ট বলেন, সারা বিশ্বে করোনাভাইরাস মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। আমাদের বাংলাদেশেও এর প্রভাব পড়েছে মারাত্মকভাবে। যে কারণে দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশের অর্থনীতি। এই প্রেক্ষাপটে রবিবার প্রধানমন্ত্রী যে ৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন সেজন্য রিহ্যাবের পক্ষ থেকে স্বাগত জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, বৈশ্বিক এই সংকটে সারা বিশ্বের জন্য অনুকরণীয় এই আর্থিক সহায়তার প্যাকেজ একটি সময়োপযোগী এবং যুগান্তকারী পদক্ষেপ। প্রধানমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আমরা রিহ্যাবের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাই এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

শামসুল আলামিন বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রিয়েল এস্টেট খাত। কারণ এই খাতের সঙ্গে অনেকগুলো লিংকেজ শিল্প জড়িত। আবাসন শিল্পের সঙ্গে ৩৫ লাখ নাগরিকের কর্মসংস্থান জড়িত। ডেইলি বেসিস এখানে কয়েক লাখ শ্রমিক কাজ করেন। আবাসন শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হলে অন্যান্য খাতেও এর মারাত্মক প্রভাব পড়বে। ফলে অর্থনীতিতে সূদরপ্রসারী নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

রিহ্যাব বোর্ড অব ডিরেক্টরসের পক্ষে প্রেসিডেন্ট আলমগীর শামসুল আলামিন কাজল স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ সব দাবি জানানো হয়।

১. অবিলম্বে আবাসন শিল্পে বিনিয়োগকারীদের তাৎক্ষণিক সংকট মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে রিয়েল এস্টেট খাতে বরাদ্দ দেয়ার জন্য অনুরোধ করছি।

২. আবাসন ব্যবসায়ীদের বিদ্যমান ঋণের সুদ ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মওকুফ ও সহজ শর্তে পুনঃতফসিল করা খুবই জরুরি দরকার।

৩. বর্তমান পরিস্থিতিতে দীর্ঘমেয়াদি সংকট নিরসনে আবাসন শিল্পে ২০০৭-০৮ সালের ন্যায় হাউজিং রি-ফিন্যান্সিং স্কিম পুনঃপ্রচলন অত্যাবশ্যক।

৪. রিহ্যাব, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, এফবিসিসিআই এবং এনবিআরের সমন্বয়ে গঠিত ওয়ার্কিং গ্রুপের সভায় বাংলাদেশের আবাসন শিল্পের সমস্যা সমাধান এবং সার্বিক উন্নয়নের নিমিত্তে গৃহীত সুপারিশ অবিলম্বে বাস্তবায়ন করার জন্য সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা কামনা করছি।

এদিকে করোনা ভাইরাসের এ দুর্যোগকালীন সময়ে আবাসন ব্যবসায়ীদের বিদ্যমান ঋণের সুদ এ বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত মওকুফ করার দাবি জানিয়েছে আবাসন মালিকদের সংগঠন রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং সোসাইটি অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব)। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে রিয়েল এস্টেট খাতে বরাদ্দ দেয়াসহ এক গুচ্ছ দাবি তুলে ধরা হয়েছে রিহ্যাবের পক্ষ থেকে।

এতে বলা হয়, বর্তমান পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রিয়েল এস্টেট খাত। কারণ এই খাতের সঙ্গে অনেকগুলো লিঙ্কেজ শিল্প জড়িত। আবাসন শিল্পের সঙ্গে ৩৫ লাখ নাগরিকের কর্মসংস্থান জড়িত। ডেইলি বেসিস এখানে কয়েক লাখ শ্রমিক কাজ করেন। আবাসন শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হলে অন্যান্য খাতেও এর মারাত্মক প্রভাব পড়বে। ফলে অর্থনীতিতে লম্বা সময়ের জন্য নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

বাংলাধারা/এফএস/টিএম

আরও পড়ুন