আন্তর্জাতিক ডেস্ক »
করোনাভাইরাস থেকে মুক্তির আকাঙ্ক্ষা নিয়ে পালিত হলো খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের শ্রেষ্ঠ উৎসব বড়দিন। বিশ্বব্যাপী সরকারের স্বাস্থ্যবিধি নির্দেশনা মেনে, উৎসবে যোগ দেন খ্রিস্টান সম্প্রদায়।
বেথেলহেম : যিশুখ্রিস্টের জন্মস্থান ফিলিস্তিনের বেথেলহেম নগরে এবার খুব স্বল্প সংখ্যক খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বী বড়দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছেন। ক্রিসমাস ট্রির পাশে দাঁড়িয়ে বেথেলহেমের মেয়র অ্যান্টন সালমান বলছিলেন, ‘লোকজনের চলাফেরা ও সামাজিক যোগাযোগে বিধিনিষেধ রয়েছে। কিন্তু এটা বড়দিন, আর বড়দিন মানুষের মনে ভালো সময়ের আশা জাগায়।’
ভ্যাটিকান সিটি : আগের দিন সন্ধ্যায় এক ভাষণে পোপ ফ্রান্সিস বিশ্ববাসীকে নিজেদের দায়িত্ব মনে করে গরিবদের সাহায্য করার আহ্বান জানিয়েছেন। ভ্যাটিকানের সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকার প্রধান অংশ নয় বরং পেছন দিকের একটি অংশে এ বছর ‘ক্রিসমাস ইভের ম্যাস’ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে ১০০ জনের কম মানুষ অংশ নিয়েছেন। সাধারণত প্রতিবছর বড়দিনের ‘ম্যাসে’ ১০ হাজারের বেশি মানুষ অংশ নেন। যাদের মধ্যে প্রায় ২০০ দেশের কূটনীতিকরা থাকেন।
লেবানন : মধ্যপ্রাচ্যের দেশ লেবাননের প্রায় অর্ধেক জনগোষ্ঠী খ্রিস্টান। অর্থনীতিতে গতি আনতে লেবানিজ সরকার মহামারীর অনেক বিধিনিষেধ তুলে দিয়েছে।
যুক্তরাজ্য : সম্প্রতি করোনার নতুন এক ধরন পাওয়া যাওয়ায় কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে ব্রিটিশ সরকার। তবে ব্রেক্সিট চুক্তি পাস হওয়ায় যুক্তরাজ্যে বড়দিন বাড়তি আনন্দ যোগ করেছে।
ফ্রান্স : প্যারিসের একটি বৃদ্ধাশ্রম বাসিন্দাদের একটু ক্রিসমাসের আনন্দ দিতে জানালার বাইরে নাচ-গান করেন সেই শহরের স্বাস্থ্যকর্মীরা।
জার্মানি : বড়দিন উপলক্ষে কঠোর লকডাউন আরোপ করেছে দেশটির সরকার। পারিবারিকভাবে পালিত হয়েছে দিনটি। গত ১৬ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হওয়া নতুন লকডাউন আগামী ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে।
যুক্তরাষ্ট্র : করোনাভাইরাসে সবচেয়ে আক্রান্ত ও মৃত্যুর দেশ যুক্তরাষ্ট্র এবার এক করুণ বড়দিন পালন করছে। রাজনৈতিক নেতারা লোকজনকে ভ্রমণ ও জমায়েতে সতর্ক থাকতে বলেছেন।
চীন : চীনের বন্দর নগর দালিয়ানের লাখ লাখ অধিবাসীদের করোনা পরীক্ষা শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যেই কিছু এলাকায় হইহুল্লড় করেই দিনটি পালন করা হয়েছে।
ব্রাজিল : সাও পাওলোর রাস্তা প্রতি বছর ক্রিসমাসের সময় সেজে ওঠে নানা রঙের আলোয়। এই সময়ে সাও পাওলোয় পালিত হয় লুমিনাফেস্ট। স্থানীয় মানুষ গাড়িতে, পায়ে হেঁটে ঘুরে ঘুরে আলোর সাজ উপভোগ করেন। তবে আনন্দ উৎসবের দেশ ব্রাজিলে এবার বড় কোনো আয়োজন ছিল না।
বাংলাধারা/এফএস/এআর













