৪ নভেম্বর ২০২৫

করোনা মোকাবিলায় সর্বোচ্চ প্রস্তুতি কক্সবাজারে

কক্সবাজার প্রতিনিধি »

বিশ্বময় ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের সম্ভাব্য উপস্থিতি মোকাবিলায় পর্যটন শহর কক্সবাজারেও সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থা নেয়া হয়েছে।

আকাশ ও নৌ-পথে কক্সবাজারে আসাদের পরীক্ষায় বিমান ও স্থলবন্দরে করোনাভাইরাস শনাক্তে থার্মাল স্ক্যানার বসানো হয়েছে। এতে দেশি-বিদেশি সকল যাত্রীকে থার্মাল স্ক্যানারে পরীক্ষা করছেন মেডিকেল টিমের সদস্যরা।

তবে এখনো পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কাউকে পাওয়া না গেলেও জেলা সদর ও রামুতে পৃথকভাবে ১০০ শয্যা প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন। বিলাসবহুল বাসগুলোর যাত্রীদেরও চেকআপের আওতায় আনতে প্রয়োজনে মেডিকেল টিম বাড়ানোর প্রস্তুতি নেয়া রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন ডিসি।

কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডা. মো. মাহবুবুর রহমান জানায়, করোনা মোকাবিলায় সারাদেশের মতো পর্যটন নগরী কক্সবাজারেও নেওয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। তারই অংশ হিসেবে বিমান ও টেকনাফ স্থলবন্দরে জোরদার রয়েছে মেডিকেল টিম। এরই মধ্যে বিমানবন্দরের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন করছেন জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেনসহ সংশ্লিষ্টরা।

করোনাভাইরাস পরীক্ষায় কক্সবাজার বিমান বন্দর ও টেকনাফ স্থলবন্দরে ২৪ ঘণ্টা মেডিকেল টিম কাজ করছে বলে নিশ্চিত করেন সিভিল সার্জন।

কক্সবাজার বিমানবন্দরের ম্যানেজার একেএম সাইদুজ্জামান জানান, ১৩টি ফ্লাইটে কক্সবাজারে প্রতিদিন হাজারেরও বেশি যাত্রী আসা-যাওয়া করে। এর মধ্যে ৪০-৫০ জন থাকে বিদেশি যাত্রী। আকাশ পথে আসা সব যাত্রীকেই থার্মাল স্ক্যানারে পরীক্ষা করা হয়।

অন্যদিকে, টেকনাফ স্থলবন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. আফছার উদ্দিন জানান, টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে লোকজনের আসা-যাওয়া তেমন নেই। তবে, বিভিন্ন মালামাল ও পণ্য নিয়ে মিয়ানমারের ট্রলারগুলো আসে। সেখানে থাকে মিয়ানমারেরই লোকজন। মিয়ানমারের সাথে চীনের দীর্ঘ সীমান্ত থাকায় বোটে থাকা লোকজনকে সন্দেহের মাঝে রাখা হয়। তারা বন্দরে নামলে তাদের এবং মালামাল খালাসের জন্য এখানে কাজ করে স্থানীয় শ্রমিকদেরও থার্মাল স্ক্যানের মাধ্যমে পরীক্ষা করেন মেডিকেল টিমের সদস্যরা। তারা বন্দরে আসা মালামাল নামাতে গিয়ে ট্রলারের লোকজনের সংস্পর্শে আসে।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, বিমানে কক্সবাজারে আগত পর্যটক বা পেশাজীবী এবং স্থানীয়দের দেহে করোনাভাইরাস সনাক্তকরণে কক্সবাজার বিমানবন্দরে স্থাপিত মেডিকেল বোর্ডের কার্যক্রম নিয়মিত নজরে করা হচ্ছে। শুধু বিমানে নয় বিলাসবহুল বাসগুলোতেও যাত্রী আসা যাওয়া উল্লেখ করার মতো। তাই শীগগির বাসগুলোর যাত্রীদেরও পরীক্ষার আওতায় আনার প্রক্রিয়া চলছে। পরিবহন সংশ্লিষ্টদের নিয়ে বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত একটি সভা করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

সব জায়গায় একযোগে কাজ করতে স্বাস্থ্য বিভাগের সক্ষমতা আরো বৃদ্ধিকরণে ইনফ্রারেড থার্মাল ইন্সট্রুমেন্টের সংখ্যা বাড়িয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে উল্লেখ করে জেলা প্রশাসক বলেন, থার্মাল স্ক্যানারের সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি সচেতনমূলক প্রচারণা বৃদ্ধি ও হাসপাতালে সেবা নিশ্চিতসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

অপরদিকে, প্রশাসনের পাশাপাশি করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করছে আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলো নানা কার্যক্রম চালাচ্ছে।

বাংলাধারা/এফএস/টিএম/এএ

আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও

সর্বশেষ