জালালউদ্দিন সাগর »
চট্টগ্রামে প্রতিদিনই বাড়ছে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী। বাড়ার হার আগামীতে কয়েকগুণ হওয়ার আশংকা করছেন সংশ্লিষ্টরা। চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা যদি ৫শতাধীক ছাড়িয়ে যায় সে ক্ষেত্রে চট্টগ্রামে হুমকির মুখে পড়বে করোনা চিকিৎসা ব্যবস্থা।
বর্তমানে চট্টগ্রামে করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত আছে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজ (বিআইটিআইডি),রেলওয়ে বক্ষব্যাধি হাসপাতাল এবং সম্প্রতি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের জেনারেল হাসপাতাল। তিনটি হাসপাতাল মিলে কোনোভাঊেন ৫শ রোগীকে একসাথে ইনডোর চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব নয়-দাবি সংশ্লিষ্টদের।
সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, করোনা আক্রন্তের সংখ্যা গাণিতিক হারে বাড়তে থাকলে নির্ধারিত এই হাসপাতাগুলোতে করোনা রোগীদের সংকুলান করা অসম্ভব হয়ে পরবে। সে ক্ষেত্রে ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি চিটাগাংয়ের (ইউএসটিসি) অধীনে পরিচালিত বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল হাসপাতালের (বিবিএমএইচ) অব্যবহৃত ১হাজার বেডের নতুন হাসপাতালটি করোনা রোগীদের জন্য আর্শিবাদ হতে পারে।
এ বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশন (বিএমএ) চট্টগ্রাম অঞ্চলের সভাপতি ডা: মুজিবুল হক বলেন, ইউএসটিসির অধীনে ১হাজার বেডের একটি হাসপাতাল অব্যহৃত অবস্থায় পড়ে আছে। হাসপাতালটি সরকার অধিগ্রহন করে করোনা চিকিৎসার জন্য নির্ধারন করলে করোনা রোগীদের চিকিৎসা দেয়ার ক্ষেত্রে অনেকটা সংকামুক্ত হতে পারতাম।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি চিটাগাংয়ের (ইউএসটিসি) অধীনে পরিচালিত বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল হাসপাতালের (বিবিএমএইচ) ইনডোর রোগী বেড়ে যাওয়ায় আধুনিক চিকিৎসাসামগ্রী ও যন্ত্রপাতিসহ ২০১২ সালে নতুন ভবনের কাজ শেষ করে কর্তৃপক্ষ। ২০১৩ সালে জাতীয় অধ্যাপক এবং ইউএসটিসির প্রতিষ্ঠাতা ভিসি ডা.নুরুল ইসলাম মারা যাওয়ার পর অব্যন্তরীণ নানান জটিলতায় দীর্ঘ ৮ বছরেও নতুন ভবনে চিকিৎসা প্রদান কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।
ইউএসটিসির প্রাক্তন ছাত্র ডা.আরিফ বাচ্চু জানান, ইউএসটিসির কর্তৃপক্ষের নব নির্মিত ১ হাজার বেডের একটি হাসপাতাল দীর্ঘ ৮ বছর ধরে অব্যহৃত। করোনা চিকিৎসার সাথে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যদি মনে করেন করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য এই হাসপাতালটি অধিগ্রহন করতে পারেন।
তিনি আরও বলেন,দীর্ঘদিন ধরে অব্যবহৃত থাকা আধুনিকমানের একটি হাসপাতাল চালু হলে চট্টগ্রামের মানুষ উপকৃত হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে, চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ পরিচালক হাসান শাহরিয়ার কবির জানান, চট্টগ্রামে মেডিক্যাল বোর্ডের আওতাধীন যেসব প্রতিষ্ঠান আছে সেসব প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যাপারে আমরা ইতোমধ্যে আলোচনা করেছি। তিনি বলেন, ইউএসটিসির নব নির্মিত এবং অব্যবহৃত ১ হাজার বেডের যে ইউনিটটি আছে সে বিষয়টিও আমাদের চিন্তাভাবনায় আছে।
করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেলে বেসরকারী মেডিকেল কলেজগুলোকে অধিগ্রহনের সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
বাংলাধারা/এফএস/টিএম













