কক্সবাজার প্রতিনিধি »
কক্সবাজারে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে সনাক্ত হওয়া বৃদ্ধাকে পূর্ব থেকে চিকিৎসা দেয়া তিন চিকিৎসকের করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। ওমরাহ ফেরত সেই বৃদ্ধার গত মঙ্গলবার করোনা পজিটিভ আসার পর থেকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের এ তিন চিকিৎসক হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন।
এ তিন চিকিৎসক হলেন, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. মোহাম্মদ ইউনুছ, ডা. মোহাম্মদ শামসুদ্দিন ও সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মোহাম্মদ শাহজাহান।
রিপোর্ট নেগেটিভ আসায় তারা করোনা ভাইরাসমুক্ত বলে বিবেচিত হওয়ায় সবাই আল্লাহর শোকরিয়া আদায় করছেন।
শুক্রবার (২৭ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার ফৌজদারহাটে ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকসাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) এ তিন চিকিৎসকের পরীক্ষার রিপোর্ট দিয়েছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডা. মাহবুবুর রহমান।
তিন ডাক্তারের করোনা রিপোর্ট নেগিটেভ আসার বিষয়টি নিজেদের ফেসবুক ওয়ালে পোস্ট করে করোনায় আতংকিত না হতে আহবান জানাচ্ছেন জেলা পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেনসহ আরো দায়িত্বশীল অনেকে।
এদের তিন জনের করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ সন্দেহে গত ২৫ মার্চ তিন চিকিৎসকের নমুনা পাঠানো হয়েছিল বলে জানিয়েছেন বিআইটিআইডির ডা. শাকিল আহমদ। নমুনা প্রতিবেদন ঢাকায় রোগতত্ত্ব রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা কেন্দ্রে (আইইসিডিআর) পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
গত মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) স্বাস্থ্য অধিদফতর ঢাকার বাইরে প্রথম চট্টগ্রামের বিআইটিআইডিকে করোনা সন্দেহজনক নমুনা পরীক্ষার অনুমোদন দেয়। পরীক্ষার জন্য ঢাকা থেকে করোনা শনাক্তকরণ কিটও পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয় পরীক্ষা।
উল্লেখ্য, কক্সবাজারের প্রথম করোনা সনাক্ত বৃদ্ধাকে (৭৫) গত ১৮ মার্চ হতে চিকিৎসা করেন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. মোহাম্মদ ইউনুছ, ডা. মোহাম্মদ শামসুদ্দিন ও সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মোহাম্মদ শাহজাহান। তার অসুস্থতা দুর না হওয়ায় গত ২২ মার্চ করোনা ভাইরাস পরীক্ষায় তার শরীরের নমুনা ঢাকাস্থ আইইডিসিআরে পাঠানো হয়েছিল। ২৪ মার্চ সেই নমুনার রিপোর্টে করোনা ভাইরাস পজেটিভ আসে ওই বৃদ্ধার। এর পর পরই চিকিৎসায় নিয়োজিত থাকা তিন চিকৎিসককে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়। সদর হাসপাতালের তথ্য মতে, নানা ভাবে মুসলিমার সংস্পর্শে আসা ১০ চিকিৎসক, ৮ নার্স ও ৩ ক্লিনার হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে। লকডাউন অবস্থায় রয়েছে কক্সবাজার, চট্টগ্রামে উক্ত বৃদ্ধার ছেলে-মেয়েদের বাসা-বাড়ি। হোম কায়ারেন্টাইনে রয়েছেন স্বজনদের প্রায় সবাই।
এদিকে, কক্সবাজারে করোনা পজিটিভ বলা বৃদ্ধার সেজ ছেলে চট্টগ্রামের বাকলিয়ায় বাসা লকডাউন হয়ে অবস্থান করা মকসুদ মুঠোফোনে বলেন, ওমরাহ থেকে ফেরার পর মায়ের (করোনা পজিটিভ বৃদ্ধার) সংস্পর্শে বেশি যাওয়া আমার ছোট ভাই, ভাগিনা-ভাগনী, সঙ্গে থাকা বোন কারোই আলহামদুলিল্লাহ করোনার লক্ষণ দেখা যায়নি আজ অবধি। সর্বশেষ মাকে চিকিৎসা দেয়া তিন ডাক্তারের নমুনা পরীক্ষাতেও নেগিটিভ রিপোর্ট এসেছে। সে হিসেবে আমার মায়ের রিপোর্টটি নিয়ে একটু সন্দেহ কাজ করছে। আমাদের অনুরোধ মায়ের করোনা নমুনা পুন:রায় পরীক্ষা করা হউক। সাথে পরীক্ষা করা হউক আমরা যারা লকডাউন অবস্থায় রয়েছি তাদের।
বাংলাধারা/এফএস/টিএম/এএ













