আনোয়ারা প্রতিনিধি »
কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহা খালে নির্মাণাধীন সেতুর কাজ ফেলে উধাও হয়ে গেছে ঠিকাদার। সেতুর গর্তে ধসে পড়েছে আরসিসি সড়ক। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে স্থানীয় জনসাধারণ। কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে যাচ্ছে স্কুলে। যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় রোগীদের কোলে করে পার করাতে হচ্ছে।
গত ১০ দিন আগে বৃষ্টির সময় সড়কটি সেতুর জন্য খনন করা গর্তে ধসে পড়ে। এর মধ্যে ঠিকাদার একদিনের জন্য ঘটনাস্থলে আসেননি। স্থানীয় চেয়ারম্যান নুরুল হক ও উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক চৌধুরী ধসে পড়া সড়কটি পরিদর্শণ করেছেন।
স্থানীয় চেয়ারম্যান নুরুল হক জানান, আমি ধসে যাওয়া সড়কটি পরিদর্শন করে উপজেলা ইঞ্জনিয়ার এবং উপজেলা চেয়ারম্যানকে জানিয়েছি। এর বাইরে আমার করার কিছুই নাই। যা করবে তারাই করবে।
জানা যায়, শিকলবাহা খালে ৮৮ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি গার্ডার সেতুর নির্মাণ কাজ চলছিল। কাজের শুরুতেই এলাকবাসীর অভিযোগ ছিল সেতুতে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করছেন। গত তিনমাস ধরে নির্মাণ কাজ বন্ধ। ঠিকাদারের কোনো খোঁজ নেই। এর মধ্যে সেতু সংলগ্ন জুলধা-শিকলবাহা সংযোগ সড়ক ধসে পড়েছে সেতুর গর্তে।
স্থানীয়রা বলছেন, কোনো ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা না নিয়ে দীর্ঘদিন গর্ত খুঁড়ে ফেলে রাখার কারণে সড়কটি গর্তে ধসে পড়ে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০২১-২২ অর্থবছরে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে (জিওবি তহবিল উৎসে) কর্ণফুলীতে তিনটি সেতু নির্মাণে ২ কোটি ৩৭ লাখ ৭১ হাজার ৮৮৩ টাকার বরাদ্দ পেয়েছেন। এদের একটি জুলধা ইউনিয়নের পাইপের গোড়া বাজারের পাশে জুলধা-শিকলবাহা সংযোগ সড়কের খালের উপর ১৫ মিটার দৈর্ঘ্যের গার্ডার সেতু (৭০৮৮) নির্মাণ করা। যার প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৭ লাখ ৮৯ হাজার ১৯১ টাকা।
ঠিকাদার ফোরকান আহমদ বলেন, জোয়ারের স্রোতে সড়ক ভেঙে গেলে আমার করার কিছু নেই। আমি সেতু নির্মাণ করছি। এলাকার মানুষ সহযোগিতা করলে কাজটি শেষ করা সম্ভব হতো। কিন্তু তারা কাজের জিনিসপত্র চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে।
কর্ণফুলী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) উমা খান কাফির বলেন, অনিয়ম হয়েছে কিনা জানি না। ওই সেতুর কাজ করছেন শিকলবাহার মেসার্স সানজা কনসোটিয়াম লিমিটেড। আমি এখানে নতুন আসলাম। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।













