কক্সবাজার প্রতিনিধি »
ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এমপি বলেছেন, কক্সবাজার দেশের একটি অমূল্য রত্ন। তাই প্রধামন্ত্রীর আন্তরিক প্রচেষ্টা ও তত্বাবধানে এখানে অর্ধশতাধিক মেগা প্রকল্প দ্রুত বাস্তয়ন হচ্ছে। এসব প্রকল্পে ভূমি অধিগ্রহণের বিষয়ে অভিযোগের শেষ নেই। প্রধানমন্ত্রী ঘোষণায় অধিগ্রহণের টাকা তিন গুণ দেওয়া হলেও বাস্তবতায় হয়রানির শিকার হচ্ছে ভূমি ক্ষতিগ্রস্তরা। কর্তারাই ‘অনিয়মে’ ডুবে থাকলে সাধারণ জনগণ হয়রানির স্বীকার হয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়ে। সব অভিযোগ দ্রুত তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে হবে।
সোমবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) কক্সবাজার জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী আরো বলেন, বর্তমানে কক্সবাজারের প্রধান সমস্যা রোহিঙ্গা । মিয়ানমারে পাশবিক নির্যাতনের পর বাস্তুচ্যুত হয়ে তারা এখানে এসেছে। ফলে ওদের আচার-আচরণ হিংস্র ও অমানবিক। আর এদের নিয়ে, কিছু এনজিও ফায়দা লুটছে। রোহিঙ্গারা এনজিওদের কাছে অনেকটা লটারির মতো। এতো অভিযোগের পরও আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সুষ্ঠু তত্বাবধানে পর্যটন নগরীর আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা অপরাধী ও কক্সবাজারের স্থানীয় আসামীকে একই জেলখানায় রাখা হলে তারা স্থানীয়দের সাথে মিশে যেতে পারে। তাই তাদের জন্য আলাদা সেল বা জেলখানা নির্মাণের প্রস্তাব বিবেচনা করা হবে।
সভায় সরকারি প্লট দখলকারি ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা দিয়ে মন্ত্রী বলেন, সরকারি প্লট ভূমি দস্যুদের হাত থেক দ্রুত উদ্ধার করে নিজেদের কব্জায় নিতে হবে।
সভায় স্থানীয় সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল বলেন, আর আর আর সি হোস্ট কমিউনিটির শত শত কোটি টাকা কোথায় দিয়েছেন? কাকে দিয়েছেন? তা কেউ জানে না। হোস্ট কমিউনিটির জন্য যে বরাদ্ধ আসে তা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের মাঝে দেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। বিষয়টি মনিচরিংয়ে জেলা প্রশাসন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সুশীল সমাজ নিয়ে একটি মনিটরিং ফোরাম গঠনের তাগাদাও দেন তিনি।
কুতুবদিয়া-মহেশখালীর সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিক বলেন, শৃঙ্খলা বাহিনীর বলিষ্ট ভূমিকায় বঙ্গপোসাগরে ডাকাতি কমে গেছে। যারা দস্যুতা ছেড়ে দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছে তাদেরকে সঠিকভাবে পুর্নবাসন করে, এ স্বাভাবিক জীবনের গতিধারা অব্যাহত রাখতে হবে।
জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এড. সিরাজুল মোস্তফা, সহ-সভাপতি, রেজাউল করিম, সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোস্তাক আহম্মদ চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শাজাহানসহ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
বাংলাধারা/এফএস/টিএম/এএ













