বাংলাধারা প্রতিবেদক »
এবার কাঁচামাল সংকটে বন্ধ হয়ে গেছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ডায়ালাইসিস সেবা। বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকে কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ রাখে ডায়ালাইসিস সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান স্যান্ডর।
হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘কিছুদিন পরপর সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান স্যান্ডর রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিতে নানা বাহানা দেখাচ্ছে। এখন কাঁচামাল সংকটের কারণে সাময়িকভাবে সেবা কার্যক্রম বন্ধ রাখার কথা বলছে। বিষয়টি জানিয়ে প্রতিষ্ঠানটি মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর একটি চিঠিও দিয়েছে। কোনো কারণে যাতে কিডনি রোগীদের সেবা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে না যায় সেটি নিশ্চিতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। সাময়িক সমস্যা শিগগির সমাধান হবে।’
চমেক হাসপাতালের নিচতলায় থাকা ডায়ালাইসিস সেন্টারের সামনে স্যান্ডর কর্তৃপক্ষের টাঙিয়ে দেওয়া নোটিশে উল্লেখ করা হয়, গত নভেম্বর থেকে ডায়ালাইসিসের কাঁচামাল সরবরাহকারী অনেক প্রতিষ্ঠান আংশিক এবং কেউ পূর্ণাঙ্গ সরবরাহ বন্ধ রেখেছে। যে কারণে কাঁচামালের সংকট তৈরি হয়েছে। এতদিন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বন্ধ করে নগদ টাকায় মালপত্র কিনে ডায়ালাইসিস সেবা চালু রাখা হয়েছিল। তবে বর্তমানে আমাদের হাতে যথেষ্ট টাকা না থাকার কারণে প্রয়োজনীয় কাঁচামাল কেনা সম্ভব হচ্ছে না। এ অবস্থায় ডায়ালাইসিসের প্রয়োজনীয় কাঁচামাল স্বল্পতায় আগামী দু-এক দিনের মধ্যে সেবা বিঘ্নিত হতে পারে। যেহেতু ডায়ালাইসিস সেবা অত্যন্ত স্পর্শকাতর জরুরি সেবা, সেহেতু সংশ্লিষ্ট সব রোগীকে বিকল্প ব্যবস্থা নিতে নোটিশে অগ্রিম অনুরোধ করা হয়। বিগত বছরে ডায়ালাইসিস সেবা দেওয়ার বিপরীতে এখনও ৩১ কোটি টাকা স্যান্ডরের পাওনা রয়েছে বলেও নোটিশে উল্লেখ করে প্রতিষ্ঠানটি।
প্রসঙ্গত, ডায়ালাইসিস ফি বাড়ানো ও ভর্তুকি সুবিধা কমানোর প্রতিবাদে ৭ জানুয়ারি থেকে বিক্ষোভ শুরু করে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা কিডনি রোগী ও স্বজনরা। দাবি আদায়ে ১০ জানুয়ারি হাসপাতালের মূল ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় রোগী ও স্বজনের ওপর চড়াও হয় পুলিশ। এক পর্যায়ে তাঁদের ওপর হামলাও চালানো হয়। ঘটনাস্থল থেকে দুটি কিডনি বিকল থাকা নাসরিন আক্তার নামে এক রোগীর কলেজ পড়ূয়া ছেলে মো. মোস্তাকিমকে গ্রেপ্তার করা হয়।













