বাংলাধারা প্রতিবেদন »
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ১৬ নং চকবাজার ওয়ার্ডে পরপর ৭ বার নির্বাচিত কাউন্সিলর সাইয়্যেদ গোলাম হায়দার মিন্টু’র মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এবং চসিক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এম. রেজাউল করিম চৌধুরী।
এক শোকবার্তায় শিক্ষা উপমন্ত্রী মরহুমের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবার পরিজনের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
এসময় তিনি বলেন, “ জনাব গোলাম সাইয়েদ হায়দার মিন্টু, চট্টগ্রামের চকবাজারের কাউন্সিলর, আমাদের মাঝে আর তিনি নেই। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন। তিনি সাত বার নির্বাচিত হয়েছিলেন। যখন থেকে কমিশনার নির্বাচন, বিপুল জনপ্রিয়তা নিয়ে চকবাজার ওয়ার্ডে বারবার নির্বাচিত হয়ে অপরাজেয় হিসাবে রেকর্ড গড়েছিলেন। কমিশনারের পরে কাউন্সিলর হয়েছেন, কিন্তু বিজয়ী সবসময় হয়েছেন।
আরেকটি বিষয়ে তিনি বিজয়ী ছিলেন, রাজনীতিতে অর্থনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের বিরুদ্ধে তিনি একজন উদাহরণ। নিরামিষ ভোজি ছিলেন, গান্ধীর অহিংস নীতির প্রতি তার অত্যন্ত শ্রদ্ধাবোধ ছিলো, সাধারণ মানুষের খুব কাছে থাকতেন। খুব মার্জিত ভাবে কথা বলতেন, মানুষের সেবায় নিজেকে আজীবন বিলিয়ে দিয়েছিলেন তিনি।
মহান আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিন উনাকে বেহেশতে নসিব করুন আর আমাদেরকে উনার মত রাজনৈতিক এবং সামাজিক নেতা এই প্রজন্মের মাঝে উপহার দিন আগামী দিন গুলোতে। পেশী আর বিত্ত নির্ভর রাজনীতির সংস্কৃতিতে জনাব মিন্টু একটি সরব প্রতিবাদ হিসেবে আমাদের মাঝে বেচে থাকবেন আজীবন।”
মেয়র রেজাউল করিম বলেন, “সাইয়্যেদ গোলাম হায়দার মিন্টু’র মৃত্যুতে আমরা একজন গুণী মানুষকে হারালাম। যিনি সব সময় জনগণের কাতারে ছিলেন এবং সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করে গেছেন। এলাকার উন্নয়নে অগ্রনী ভূমিকা পালন করেছেন কাউন্সিলর মিন্টু। সেই সাথে সদা হাস্যজ্জোল, বিনয়ী ও নিরহঙ্কার একজন উদার মনের জননেতাকে আমরা হারিয়েছি। যার শুন্যস্থান কোনদিনও পূরণ হওয়ার নয়।
আমি তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করছি।”
উল্লেখ্য, ঢাকার ইমপালস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) ভোর সোয়া পাঁচটায় তিনি ইন্তেকাল করেছেন । মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর। তিনি স্ত্রী, এক ছেলেসহ অসংখ্য স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
বাংলাধারা/এফএস/এআর













