৬ নভেম্বর ২০২৫

কাপ্তাইয়ে বন্ধ হচ্ছে মাছ ধরা

বাংলাধারা ডেস্ক »

প্রাকৃতিক প্রজননের মাধ্যমে মাছের বংশবৃদ্ধি ও অবমুক্ত পোনার সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে প্রতিবছরের মতো এবারও কাপ্তাই হ্রদে মাছ শিকার বন্ধ হচ্ছে তিন মাসের জন্য। তবে অন্যান্য বছর ৩০ এপ্রিল মধ্যরাত থেকে শুরু হলেও এবার হ্রদের পানি কমে যাওয়ায় ১০ দিন আগেই শুরু হচ্ছে এ নিষেধাজ্ঞা, যা চলবে ২০ জুলাই পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বৃহত্তম এই স্বাদু পানির হ্রদে মাছ ধরা, বিপণন ও পরিবহন করা যাবে না।

সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসক মো. মিজানুর রহমান এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ২০ এপ্রিল মধ্যরাত থেকে ২০ জুলাই পর্যন্ত হ্রদে মাছ শিকার, হ্রদের মাছ বিপণন ও পরিবহন বন্ধ থাকবে। স্থানীয় বরফকলগুলোও বন্ধ থাকবে।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সবচেয়ে বড় কৃত্রিম জলাধার কাপ্তাই হ্রদ দেশের অন্যতম প্রধান মৎস্য উৎপাদন কেন্দ্র। প্রতি বছরের চৈত্র-বৈশাখ মাছে এই হ্রদের পানি কমে যায়। সে কারণে বৈশাখের মাঝামাঝি সময় থেকে তিন মাসের জন্য এই হ্রদে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়, যেন এই সময়ে মাছেরা প্রাকৃতিকভাবে প্রজননের মাধ্যমে বংশ বিস্তার করতে পারে এবং অবমুক্ত পোনার যথাযথভাবে সংরক্ষণ নিশ্চিত করা যায়। হ্রদের পানির স্তর কমে যাওয়ায় এবারে ১০ দিন আগেই সেই নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।

জেলা প্রশাসক জানান, নিষেধাজ্ঞা চলাকালে মাছ শিকার, বিপণন বা পরিবহনে কারও সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। হ্রদের মাছ অবৈধ শিকারীদের হাত থেকে বাঁচাতে নৌপুলিশ, বিজিবি ও মৎস্য উন্নয়ন করপোশনের টহল জোরদার করা হবে। এ ছাড়া হ্রদে অবৈধ মৎস্য শিকারীদের শাস্তি দিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জেলা প্রশাসকের বাংলো ঘাট, রাজবন বিহার ঘাট, লংগদু উপজেলা ইউএনও অফিস ঘাট ও নানিয়ারচর ছয় কুড়ি বিল— হ্রদের চারটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানকে মাছের অভয়াশ্রম ঘোষণা করা হয়েছে। এসব অভয়াশ্রমে সারা বছরই মাছ শিকার নিষিদ্ধ থাকবে।

এদিকে জেলা ত্রাণ কার্যালয় জানিয়েছে, হ্রদে তিন মাস মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা চলাকালে নিবন্ধিত জেলেদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিমাসে ২০ কেজি করে ভিজিএফ চাল বিতরণ করা হবে।

জেলা প্রশাসকের ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন রাঙ্গামাটি শাখার ব্যবস্থাপক নৌ কমান্ডার মো. আশরাফুল আলম ভূঁইয়া, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজেস্ট্রেট মো. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, রাঙ্গামাটি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমা বিনতে আমিন, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শ্রীবাস চন্দ্র চন্দসহ মৎস্য ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও

সর্বশেষ