রাঙামাটি প্রতিনিধি »
রাঙামাটিতে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। নিহতের মরদেহ রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বালুখালী ইউনিয়নের পার্শ্ববর্তী হ্রদ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত সিনিয়র নার্স জানিয়েছেন, রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে সনাতনী ধর্মের একজন লোক নিহতকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সোলায়মান তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
হাসপাতালে ভর্তির সময় নিহতকে কাপ্তাই হ্রদের পানিতে ভাসতে দেখে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসার তথ্য দেওয়া হয়েছে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন। জনৈক অজিত নামের একজন ব্যক্তি নিহতকে হাসপাতালে নিয়ে আসে এবং নাম-ঠিকানা কিছুই দিতে পারেনি। তাই অজিতের মুঠোফোন নম্বর জরুরি বিভাগের এন্ট্রি খাতায় লিখে রাখা হয়।
রাঙামাটি কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. কবির হোসেন জানিয়েছেন, আমরা একটি অজ্ঞাতনামা লাশের খবর পেয়েছি। সেটি সম্পর্কে খোঁজ খবর নিয়ে পুলিশের একটি টিম হাসপাতালে গিয়েছে।
এদিকে, রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে সংগৃহিত মুঠোফোন নম্বরে যোগাযোগ করলে অজিত নামের এক ব্যক্তি ফোনটি রিসিভ করেন। অজিত প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, রাঙামাটি শহরে স্বর্ণের দোকানের কারিগররা মিলে বিশ্বকর্মা পূজা পালনে একটি লঞ্চ ভাড়া করে কাপ্তাই হ্রদে ঘুরতে যান। এসময় উক্ত অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিটিও তাদের লঞ্চে চড়ে বসেন। বালুখালি ঘটনাস্থলের কাছে লঞ্চটি পৌঁছলে লঞ্চ থেকে নিকসন নামের ৩০ বছর বয়সী এক যুবক পানিতে পড়ে যায়। এসময় তাকে উদ্ধার করতে উক্ত অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিটিও পানিতে ঝাপিয়ে পড়ে। নিকসনকে উদ্ধার করার কিছুক্ষণ পরে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিটিকেও উদ্ধার করা হয়। কিন্তু সেসময় তিনি অজ্ঞান ছিলেন। পরে তাকে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তৃব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
প্রতিবেদকের প্রশ্নের জবাবে অজিত জানান, মূলত উক্ত অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি অন্য জেলা থেকে রাঙামাটিতে প্রায় সময় এসে স্বর্ণের কারিগরদের কাছ থেকে ফেলে দেওয়া ছাই সংগ্রহ করে কিনে নিতেন। এছাড়াও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের একটি আইডি কার্ড লঞ্চের কেউ একজন পেয়েছে— এমন তথ্যও তিনি জানতে পেরেছেন বলে মুঠোফোনে প্রতিবেদককে জানিয়েছেন।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে অজিত জানান, রিজার্ভ বাজারের আলমগীর সওদাগরের মালিকানাধীন লঞ্চটি তারা ভাড়ায় নিয়েছিলেন এবং লঞ্চের মধ্যে অনেকেই মদও পান করেছিলেন।













